Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কাছাড়ের বন্যা মোকাবিলা প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন জিডি ত্রিপাঠি
ওয়েটুবরাক, ১০জুন :কাছাড় জেলায় আসন্ন বর্ষা মরসুমে সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় দুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য ১০৪টি ত্রাণ শিবির শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে সাতটি মডেল রিলিফ ক্যাম্প হিসাবে তৈরি রাখা হয়েছে। শিলচরে বৃহস্পতিবার রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার তথা কমিশনার সেক্রেটারি জ্ঞানদেও ত্রিপাঠি কাছাড় জেলার বর্তমান কোভিড মোকাবিলা এবং আসন্ন বর্ষা মরসুমের সম্ভাব্য বন্যার মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়৷ বৈঠকে কমিশনার সেক্রেটারি ত্রিপাঠি শনাক্ত করা সব কয়টি রিলিফ ক্যাম্পকে মডেল ত্রাণশিবিরে রূপান্তর করার নির্দেশ দেন। বৈঠকে জানানো হয়, অনাকাঙ্ক্ষিত সম্ভাব্য বন্যার সময় স্পর্শকাতর একুশটি নদীবাঁধের স্থান চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে এবং জেলার বাঁধগুলির স্লুইস গেইট চালু রাখা হয়েছে। পুর এলাকার সব খাল পরিষ্কার করে রাখা হয়েছে। জেলাশাসক কীর্তি জল্লি সভায় অংশ নিয়ে জেলার আন্তঃরাজ্য সীমান্তে প্রহরী চৌকি নির্মাণের জন্য রাজ্য বিপর্যয় কর্তৃপক্ষ থেকে অর্থ চেয়ে আবেদন জানান। সভায় আরও জানানো হয়, জেলায় ১৯৮টি গ্রাম বন্যাপ্রবণ রয়েছে৷
কোভিড মোকাবিলায় প্রশাসনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানানো হয় যে প্রতিদিন অক্সিজেন মনিটরিং সিস্টেম চালু হয়েছে জেলায়। এ পর্যন্ত বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত ৬৭ টি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিলিন্ডারকে কোভিড রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য রূপান্তর করা হয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় শিলচরে চালু ওয়ার রুমে এ পর্যন্ত এক লক্ষ টেলিফোন কল রিসিভ করা হয়েছে ।এতে চারটি মোবাইল ফোন এবং দুইটি ল্যান্ডলাইন ফোন রয়েছে। জেলায় ৪২টি কন্টেনমেন্ট জোন তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বর্তমানে জেলায় ২৪টি চালু রয়েছে। এই কনটেনমেন্ট জোনগুলিতে ১৪৫৩টি দরিদ্র পরিবারকে সরকারের নির্ধারিত রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে বলে সভায় জানানো হয়। এছাড়া জেলার নিষিদ্ধ পল্লীতে আরো ৭৫টি পরিবারকেও রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়েছে।