NE UpdatesHappeningsBreaking News
করোনায় যখন মানুষ হাঁফাচ্ছিলেন, হিমন্ত তখন দুর্নীতির অঙ্ক কষছিলেন, ঠুকলেন রিপুণ
ওয়েটুবরাক, ১৩ জুনঃ তৃণমূল কংগ্রেসের অসম প্রদেশ সভাপতি হিসেবে প্রথম বরাক সফরে এসেই রিপুণ বরা মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাকে তীব্র আক্রমণ করেন। পিপিই কিট কেলেঙ্কারির উল্লেখ করে বলেন, মানুষ যখন করোনার থাবায় দিশাহারা, হাসপাতালে গিয়েও শ্বাস নিতে পারছিলেন না, হাঁফাচ্ছিলেন, তখন হিমন্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিজের স্ত্রীর কোম্পানির নামে সরকারি তহবিল হাফিসের অঙ্ক কষছিলেন। তাঁর কথায়, নানা দিক থেকে দুর্নীতি হয়েছে সেদিনগুলিতে। কোনও ধরনের টেন্ডার ছাড়াই স্ত্রীর কোম্পানিকে পাঁচ হাজার কিট সরবরাহের অর্ডার দিয়েছিলেন। তখন পিপিই কিটের বাজার দর ছিল ৬০০ টাকা। তিনি রিনিকি ভুইয়াকে দিলেন ৯৯০ টাকা করে। এর পরও কোম্পানিটি ১৪৮৫-টির বেশি দিতে পারল না। শেষে অর্ডারটি বাতিলই করতে হয়। পরে মুখরক্ষায় বলে দিলেন, এগুলি ডোনেশন।
বরার প্রশ্ন, ডোনেশন হলে দর উল্লেখ, ওয়ার্ক অর্ডার, সাপ্লাই অর্ডার কোথা থেকে এল? একই কাণ্ড ঘটেছে চিন থেকে পিপিই কিট কিনতে গিয়ে। পঞ্চাশ হাজার কিট আনলেন চিন থেকে। বিমানবন্দরে নিজে গিয়ে ছবি তুললেন। প্রথম রাজ্য বলে দাবি করলেন। পরে একদিকে দেখা যায়, এই কিটগুলি ব্যবহারের যোগ্য নয়। অন্যদিকে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক চিনের কোম্পানিটিকে ব্ল্যাকলিস্টেড বলে জানিয়ে তাদের কাছ থেকে কিট কেনার কারণ জানতে চাইল৷ বিপাকে পড়ে তখন হিমন্ত বলে দিলেন, চিনের কোনও কিট গ্রহণ করা হয়নি।
এ ছাড়াও, চড়া দামে তাঁরই ঘনিষ্ঠ ধানুকা-র কাছ থেকে কিনলেন স্যানিটাইজার। সে সময় সুরমা ডিস্টিলারি সহ বিভিন্ন সংস্থা ১০০ মিলিলিটারের বোতল ১৮ টাকায় এবং ২০০ মিলিলিটার ৩৭ টাকায় সরবরাহ করছিল। হিমন্ত ধানুকা-র কাছ থেকে ওই স্যানিটারজার কিনলেন ৩০০ টাকা দরে।
রিপুণ জানান, এই সব তথ্য তাঁর নিজের বা তৃণমূলের নয়। আরটিআই-র জবাবে সরকারি দফতরই জানিয়েছে। করোনা পর্বের এইসব কেনাকাটার সিবিআই তদন্ত দাবি করেন বরা। বলেন, করোনায় মানুষের চরম অসহায়ত্বের সময়ে এই ধরনের দুর্নীতি অক্ষমণীয় অপরাধ। অতিমারির সময়ে মানুষকে বাঁচানোর গুরুদায়িত্ব ছিল যাঁর কাঁধে, তিনি একের পর এক কেলেঙ্কারি করে চলছিলেন।
এ দিনের সাংবাদিক সম্মেলনে সাংসদ সুস্মিতা দেবও মত বিনিময় করেন৷ ছিলেন জ্যোতিরিন্দ্র দে, রাজেশ দেবও৷