Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করোনায় পোস্টাল ব্যালট: আদৌ কোনও লাভ হবে কি?
ওয়েটুবরাক, ৪ মার্চ: এ বারের নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন অশীতিপর এবং প্রতিবন্ধীরাও৷ একই সুযোগ দেওয়া হয়েছে করোনায় আক্রান্তদের৷ এমনকি করোনার লক্ষণ থাকলেও পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন করা যাবে৷ নির্বাচন কমিশনের এই নির্দেশ নিয়ে নতুন চর্চা শুরু হয়েছে৷ অশীতিপর এবং প্রতিবন্ধীদের ভোট বাড়াতে এই নির্দেশ সহায়ক হবে৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কোভিডে আক্রান্ত বা লক্ষণযুক্তদের কি আদৌ কোনও উপকার হবে? প্রকৃতই কি তাদের ভোট আদায় করা যাবে?
নির্দেশে বলা হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি জারির পরই পোস্টাল ব্যালটের জন্য আবেদন-ফর্ম (১২ডি) সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে৷ পূরণ করা ফর্ম ৫ দিনের মধ্যে বিএলও-রা ফিরিয়ে আনবেন৷ বিজ্ঞপ্তি জারির ৫ দিন পর কোনও ১২-ডি ফর্ম গ্রহণ করা হবে না৷ আর ভোটগ্রহণ হবে এরও ২০ দিন পরে৷ ফলে ফর্ম পূরণের সময় যারা করোনায় আক্রান্ত, ভোটের সময় তাঁদের সুস্থ হয়ে ওঠাই স্বাভাবিক৷ লক্ষণযুক্তদেরও ২০-২২ দিন পর ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারার কোনও কারণ নেই৷ ভোটের দিনে যারা আক্রান্ত বা লক্ষণযুক্ত থাকবেন, তাদের জন্য কি পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা রয়েছে?
কাছাড়ের রিটার্নিং অফিসার কীর্তি জল্লি এবং অতিরিক্ত জেলাশাসক সুমিত সাত্তায়ান জানান, “বিজ্ঞপ্তি জারির ৫ দিন পর কোনও পোস্টাল ব্যালটের আবেদন গ্রহণ করা হবে না৷ এ পর্যন্ত এ টুকুই নির্দেশ৷” করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁরা এখন আর করোনার পোস্টাল ব্যালটে গুরুত্ব দিচ্ছেন না৷ অশীতিপর ও প্রতিবন্ধীদের কাছে ফর্ম পৌঁছে দেওয়ারই ব্যবস্থা করেছেন৷
কীর্তি জল্লির কথায়, ভোটের দিন কাউকে কোভিডে আক্রান্ত বলে মনে করা হলে তাঁর জন্য অবশ্য বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে৷ সব ভোটারকে এ বার থার্মাল স্ক্যানারে তাপমাত্রার পরীক্ষা দিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে হবে৷ কারও তাপমাত্রা আশঙ্কাজনক মনে হলে দ্রুত তাকে বিশেষ কক্ষে পাঠানো হবে৷ পরে পিপিই পরে ভোটকর্মী তাঁর ভোট সংগ্রহ করবেন৷