Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করিমগঞ্জ সীমান্তেও মিজোদের যুদ্ধের সাজ!
৬ নভেম্বর: যুদ্ধের সাজ! করিমগঞ্জ জেলার অসম-মিজোরাম সীমান্তের পরিস্থিতি বর্তমানে গভীর উদ্বেগজনক৷ অভিযোগ, পাথারকান্দি বিধানসভা কেন্দ্রের মেদলিছড়া ফরেস্ট রিজার্ভ এলাকার প্রায় তিন কিলোমিটার অংশ অনেক আগেই মিজো দুষ্কৃতীরা দখল করে নিয়েছে। লোয়াইরপোয়া-কানমুন জাতীয় সড়কের পাশ্ববর্তী রিজার্ভ ফরেস্টের একটি উঁচু পাহাড়ের গায়ে মিজো দুষ্কৃতীরা যুদ্ধের জন্য বেশকটি বাঙ্কার তৈরি করে রেখেছে। এই পাহাড়টিও অসমের মাটি। মিজোরাম সরকার সীমান্তে প্রচুর পরিমাণ পুলিশ ও আধাসামরিক বাহিনী মোতায়ন করেছে। অসমের লোয়াইরপোয়া- কানমুন জাতীয় সড়কের মেদলিছড়ার আর সি সি সেতুর অর্ধাংশ মিজোরা দখল করে বসে আছে। অসমের এই সীমান্ত এলাকার বাসিন্দার স্বাভাবিকভাবেই গভীরভাবে আতঙ্কগ্রস্ত। পুলিশের বড়কর্তাদের পরামর্শে করিমগঞ্জের ডিএফও জালনুর রহমান পাথারকান্দি থানায় তিন মিজো দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অন্যদিকে, মিজোরাম সরকারের এনরেগা প্রকল্পের প্রকল্প আধিকারিক মেদলিছড়া রিজার্ভে নির্মিত মিজো দুষ্কৃতীর ফার্ম হাউস ও গাছে অগ্নি সংযোগ করার ঘটনায় করিমগঞ্জের ডিসির কাছে সম্প্রতি যে শো- কজ নোটিশ পাঠিয়েছে এর কোনও উত্তর করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাঠানো হবে না বলে প্রশাসনের এক উচ্চ স্তরীয় আধিকারিক জানিয়েছেন। কারণ, অসমের মাটিতে নির্মিত অবৈধ ঘর ও বাগানে অগ্নি সংযোগ করার কৈফিয়ৎ মিজোরামকে কেন দেওয়া হবে, ওই আধিকারিককের পাল্টা প্রশ্ন।
করিমগঞ্জের সীমান্তবাসীদের অভিমত, মূলত ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশন তৎপরতায় বর্তমানে মিজো দুষ্কৃতীরা অসমের মাটিতে অনুপ্রবেশ করে সীমান্তে এই তাণ্ডব চালাচ্ছে। ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে দিনে দু-তিনবার সীমান্তে প্রচুর লোক লাঠিসোঁটা ও ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মেদলিছড়া আরসিসি সেতুতে এসে জড়ো হয়ে অসমের বিরুদ্ধ শ্লোগান দেয়৷ গত ৩১ অক্টোবর করিমগঞ্জ জেলা প্রশাসন ও মিজোরামের মুমিত জেলা প্রশাসনের মধ্যে ইচাবিল চা বাগানের ম্যানেজারের বাংলোয় যে সমঝোতা বা শন্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল, পরদিন আইজলে ইয়ং মিজো অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে সেই শান্তিচুক্তির কপি পুড়িয়ে দেয়।
বর্তমানে কাছাড়ের লায়লাপুল সীমান্তে মিজো দুষ্কৃতীরা যে তাণ্ডব ও অপহরণ কাণ্ড সংঘটিত করেছে এতে করিমগঞ্জের মিজোরাম সীমান্তবর্তী প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম উবে গেছে। করিমগঞ্জের জেলাশাসক আম্বামুথান এম পি, পুলিশ সুপার এম কুমার সহ প্রশাসনের পদস্থ কর্তারা অবশ্যঘন ঘন সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন