Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করিমগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজের দাবিতে ধরনা
ওয়েটুবরাক, ২০ ডিসেম্বর : মেডিক্যাল কলেজ স্থাপন নিয়ে সরগরম হয়ে উঠছে করিমগঞ্জের জেলা সদর। সরকারি গাইড লাইন মেনে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের দাবি নিয়ে সোমবার জেলা সদরে ধর্নায় বসে চারটি সংগঠন। ফায়ার ব্রিগেড কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় চার সংগঠনের ধর্নায় এনএমসির নিয়ম অনুযায়ী মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জোরালো দাবি জানানো হয়।
করিমগঞ্জ মেডিকেল কলেজ দাবি বাস্তবায়ন সমিতি, গণ অধিকার মঞ্চ, মাতৃভাষা সুরক্ষা সমিতি ও করিমগঞ্জ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ ধর্না কার্যসূচিতে সংশ্লিষ্ট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ধর্নাস্থলে দাবি ওঠে, ২০১২ সাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের যে প্রক্রিয়া চলছে তা দ্রুত কার্যকর করতে হবে । এনএমসির নিয়ম মেনে মেডিক্যাল কলেজ নির্মাণ করতে হবে। রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজের মতো শহরের পাঁচ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে করিমগঞ্জের কলেজ স্থাপনের ব্যবস্থা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজের নির্মাণকাজ চলাকালীন অবস্থায় জেলা সদরের সিভিল হাসপাতালে অস্থায়ী ভাবে কলেজের কাজকর্ম সহ ক্লাস চালু করার দাবি ওঠে ধর্না মঞ্চে।
এছাড়া রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারির দেওয়া চিঠি অনুযায়ী জেলার প্রধান হাসপাতাল থেকে দশ কিলোমিটারের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের জন্য দেড়শ বিঘা জমির বন্দোবস্ত করতে জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়। এদিন ধর্নাস্থলে বিভিন্ন বক্তা মেডিক্যাল কলেজের স্বপক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ২০১২ সালে প্রথম পরিকল্পনা নেওয়া হয় করিমগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের । তারপর অনেক জল গড়িয়েছে। প্রায় এগারো বছর হয়ে গেলেও সরকার এখন পযর্ন্ত স্থান নির্ধারণ করতে পারেনি। রাতাবাড়িতে স্থাপনের কথা শোনা গেলেও সরকারি তরফে কোনও ঘোষণা নেই। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের গাইড লাইন মেনে মেডিকেল কলেজ নির্মানের যে শর্তাবলি আছে, সে অনুযায়ী স্থান নির্ধারণের দাবি জানানো হয়।
এনএমসির গাইড লাইন অনুযায়ী এবং রাজ্যের অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ গুলো নির্মাণের নিয়মাবলী দেখে করিমগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের জোরদার দাবি উত্থাপিত হয় সোমবারের ধর্না মঞ্চে। সভায় বক্তব্য রাখেন নন্দন নাথ, প্রবীর ভট্টাচার্য, সুপ্রিয় দেব, গৌতম চৌধুরী, তারাকিশোর বণিক, নন্দ কিশোর বণিক, স্বপন বণিক, শিবানী বিশ্বাস, সুবীর বরণ চৌধুরী, বিজুভূষণ দাস, জ্যোতির্ময় দাস, সন্তোষ দত্ত, শৈলেন দাস প্রমুখ।