Barak UpdatesHappeningsBreaking News
করিমগঞ্জের দম্পতির মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার
২৪ নভেম্বর: গত ১৯ নভেম্বর করিমগঞ্জ হাসপাতাল রোডস্থিত পাঠশালা স্কুল প্রাঙ্গণে “হিউম্যান সায়েন্স ফোরাম”-এর সংক্ষিপ্ত এক অনুষ্ঠান হয়৷ সংগঠনের উপসভাপতি ফরিদুল হক লস্কর তাতে সভাপতিত্ব করেন৷ ওই সভায় করিমগঞ্জ আজাদ সাগরের বাসিন্দা গৌতম দেব ও তাঁর সহধর্মিণী সুচন্দনা দেব সরকার মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকারবদ্ধ হোন।
সভার শুরুতে মরণোত্তর দেহদানের প্রয়োজনীয়তা ও প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন ফরিদুল হক লস্কর। তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য মৃতদেহ অতি আবশ্যক। তাই সব কুসংস্কার দূরে ঠেলে বিজ্ঞানমনস্ক চিন্তাধারা নিয়ে মরণোত্তর দেহদান আন্দোলনকে সুদৃঢ় করার আহ্বান জানান৷ সংগঠনের কর্মকর্তা কমল চক্রবর্তী করিমগঞ্জ মেডিকেল কলেজ নির্মাণের প্রাসঙ্গিকতার উপর জোর দেন৷ তিনি বলেন, এখানে মেডিক্যাল কলেজ হলে এই অঞ্চলের লোকদের মরণোত্তর দেহদান সহজ ও সরল হবে৷ আরেক কর্মকর্তা বিবেক আচার্য বলেন, মরণোত্তর দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের প্রয়োজনে প্রতিস্থাপন করে চিকিৎসাবিজ্ঞানে এক যুগান্তকারী সুফল পাওয়া যাচ্ছে।
মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকারপত্রে সস্ত্রীক সই করতে গিয়ে বিজ্ঞান শিক্ষক গৌতম দেব বলেন, স্কুলজীবন থেকেই তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। বিজ্ঞানের ছাত্র হিসেবে দেহদানের এই অঙ্গীকার বিজ্ঞানের উপকারে আসার একটা অতি নগণ্য প্রয়াস বলে উল্লেখ করেন৷ সুচন্দনা দেব সরকার বলেন, একটি দৈনিক খবরের কাগজে মরণোত্তর দেহদানের খবর দেখে তিনি অনুপ্রাণিত হয়ে এই মহৎ কাজে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন৷