Barak UpdatesHappeningsBreaking News
ওয়ার্ড ও পঞ্চায়েত ভিত্তিক করোনা টিকাদান কেন্দ্র খোলার দাবি তমালের
ওয়েটুবরাক, ১১ মেঃ করোনার সংক্রমণ বেড়ে চলায় মানুষ দ্রুত এর প্রতিষেধক পেতে চান। কিন্তু পাবেন কোথায়! মুষ্টিমেয় যে কয়েকটি টিকাদান কেন্দ্র খোলা হয়েছে, সেখানে ঠেলাধাক্কা, দীর্ঘ লাইনের পরও প্রতিষেধক মিলছে না। তাই শিলচর পুরসভার প্রাক্তন সভাপতি তথা কংগ্রেস নেতা তমালকান্তি বণিক জেলা জুড়ে টিকাদান কেন্দ্র বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। জেলাশাসককে স্মারকপত্র দিয়ে বলেন, পুর এলাকায় ওয়ার্ড ভিত্তিক ও গ্রামাঞ্চলে পঞ্চায়েত ভিত্তিক টিকাদান কেন্দ্র খুললেই মানুষ নিরাপদে করোনার প্রতিষেধক গ্রহণ করতে পারবেন।
প্রসঙ্গত, টিকা নিয়ে বিভিন্ন বয়সের মানুষ চরম ভোগান্তিতে। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টিকার জন্য অনলাইন রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। স্মার্ট মোবাইল না থাকায় এক বড় অংশের পক্ষে রেজিস্ট্রেশন করানো সম্ভব হচ্ছে না। যারা রেজিস্ট্রেশন করিয়েছেন, তাঁরাও স্লট বুকিং করতে পারছেন না। অর্থাৎ কবে কোথায় গিয়ে টিকা নেবেন, তা জানতে পারছেন না। স্লট বুকিংয়ের কোনও নির্দিষ্ট সময় না থাকায় সারাদিন মোবাইল টিপেও কখন স্লট ছাড়া হচ্ছে, মানুষ বুঝতেই পারছেন না। অথচ যখনই চেষ্টা করছেন, তখনই দেখা যায়, সমস্ত স্লট বুকিং হয়ে গিয়েছে।
সবচেয়ে বেশি সমস্যা ষাটোর্ধ্বদের। ট্রাঙ্ক রোড স্থিত এক সেন্টারই তাঁদের জন্য নির্দিষ্ট থাকায় ভোর থেকে বৃদ্ধ-বৃদ্ধারা লাইনে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। ঘণ্টাচারেক পরে জানতে পারেন, এ দিন কতজনের টিকা মজুত রয়েছে, কতজনকে টিকা না নিয়ে ফিরে যেতে হবে। গতকাল সোমবার চার ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরে জানতে পারলেন, মজুত শূন্য। তাই লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে লাভ নেই। অনেকে দূর-দূরান্ত থেকে বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা নিয়ে করোনা থেকে বাঁচার জন্য সেখানে পৌঁছান। অধিকাংশকে অটো নিয়ে যেতে হয়। পরে গচ্ছা দিয়েই তাদের ফিরতে হয়।
তমালবাবুর দাবি, টিকাদান কেন্দ্র বাড়ালে এই সব সমস্যারও সমাধান হবে। মানুষের দুর্ভোগ কমবে।
Also Read: Confusion & unavailability of online vaccination slot prevails across Assam