NE UpdatesIndia & World UpdatesHappeningsBreaking News
ঐতিহাসিক, মোদি-হাসিনার হাত ধরে রেললাইনে জুড়ল আগরতলা-আখাউড়া
ওয়েটুবরাক, ১ নভেম্বরঃ অপেক্ষার অবসান। বুধবার উদ্বোধন হল আগরতলা-আখাউড়া রেললাইনের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন। একই সঙ্গে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করলেন 86.87 কিলোমিটার দীর্ঘ খুলনা-মঙলা বন্দর রেললাইন প্রজেক্ট এবং খুলনার রামপালে 1320 মেগাওয়াট উতপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের।
বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরায় আসতে ও পারে গঙ্গাসাগর হলো শেষ স্টেশন। সীমান্ত পেরিয়ে এক কিলোমিটার দূরে নতুন স্টেশন নিশ্চিন্তপুর। 12.24 কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলরুটে ভারতের প্রথম স্টেশন। এটি রেলযাত্রীদের জন্য ইন্টারন্যশনাল ইমিগ্রেশন স্টেশনও। আগরতলা-আখাউড়া রেললাইনের বেশি সীমান্তের ও পারে। এ পারে 5.46 কিমি। 2010 সালের জানুয়ারিতে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে 1000 কোটি টাকার প্রকল্পটি চূড়ান্ত হয়। ভারতই অর্থ জোগাবে, কাজের তদারকি করবে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে, এমনই সিদ্ধান্ত হয় মনমোহন সিংহ-শেখ হাসিনার দিল্লি বৈঠকে। পরবর্তী সময়ে ভারতের অর্থে খুলনা-মঙলা বন্দর রেললাইন প্রজেক্ট এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট নির্মাণেও চুক্তিবদ্ধ হয় দুই দেশ।
এ দিনের ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্রী মানিক সাহাও। তিনি বলেন, আগে ত্রিপুরা থেকে গুয়াহাটি হয়ে কলকাতা যেতে 1600 কিমি পাড়ি দিতে হতো। এখন তা কমে এল 500 কিলোমিটারে। তাতে উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থারই উন্নতি ঘটল না, এখন বাড়বে বাণিজ্য, পর্যটনও। এই সবের হাত ধরেই সমৃদ্ধ হবে উত্তর-পূর্বের অর্থনীতি। তিনি সে জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, এক হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হলেও শেষপর্যন্ত তা বেড়ে 1255.1 কোটিতে পৌঁছয়।
এই রেললাইন শুধু ত্রিপুরারই নয়, দক্ষিণ অসম এবং মিজোরামের যাত্রীদেরও কলকাতা যাওয়ার সময় কমিয়ে দিয়েছে। ত্রিপুরা থেকে আগে যেখানে গুয়াহাটি হয়ে 38 ঘণ্টা লাগছিল, নতুন ডুয়েলগেজ রুটে যাত্রী চলাচল শুরু হলে মাত্র দশঘণ্টায় কলকাতায় পৌঁছনো যাবে। পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ রেল যোগাযোগ বহু পুরনো হলেও উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে এই প্রথম রেললাইনে যুক্ত হল বাংলাদেশ। পূর্ব পাকিস্তান যুগে অবশ্য করিমগঞ্জের মহীশাসন দিয়ে ট্রেন চলাচল ছিল। ওই রুটটি ফের খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে দুই পারেই কাজ চলছে বর্তমানে।
এর আগে সোমবার পরীক্ষামূলক পণ্যবাহী ট্রেন চলে আগরতলা-আখাউড়া রুটে। তা সফল হতেই সবুজসংকেত মেলে বুধবারের অনুষ্ঠানের।