India & World UpdatesHappeningsBreaking News
এনসিপিতে ভাঙন, মহারাষ্ট্রে শিন্ডের হাত ধরে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত
ওয়েটুবরাক, ৩ জুলাই : রবিবারও এক শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের সাক্ষী রইল মহারাষ্ট্র। দুপুরে আচমকা আট এনসিপি বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়ে একনাথ শিন্ডে-বিজেপি সরকারের সঙ্গে হাত মেলালেন এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার।। আবার হলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। যার জেরে এনসিপির ঘর ভেঙে গেল।
তাঁর সঙ্গে আরও আট এনসিপি বিধায়ক মন্ত্রী হিসাবে শপথগ্রহণ করেছেন। তাঁরা হলেন, ছগন ভুজবল, দিলীপ ওয়ালসে পাটিল, অদিতি টাটকারে, ধনঞ্জয় মুন্ডে, হাসান মুশারিফ, ধরমরাজ বাবারাও আতরাম, সঞ্জয় বাঁসোদে এবং অনিল ভাইদাস পাটিল। অজিত দাবি করেছেন, এনসিপির ৫৩ জন বিধায়কের মধ্যে ৪৩ জনের সমর্থন রয়েছে তাঁর কাছে।
বছর ঘুরলেই মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন। রয়েছে লোকসভা ভোটও। রাজনীতির আঙিনায় এই জোড়া যুদ্ধের আগে এনসিপির মতো বিজেপি বিরোধী দলে ভাঙন ভিন্ন মাত্রা যোগ করল। ঠিক এক বছর আগে জুন মাসে শিবসেনায় বিদ্রোহ ঘোষণা করে মহারাষ্ট্রে ‘মহা বিকাশ আঘাডী’ সরকার ফেলে দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডে। বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি হয়েছিল নতুন সরকার। যার নেপথ্যে বিজেপির ‘কলকাঠি’ ছিল বলে দাবি করে বিরোধীরা। সেই নয়া সরকারের এক বছরের মধ্যেই বিরোধী শিবিরে আবার ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি।
২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে মোদী বাহিনীকে ক্ষমতাচ্যুত করতে যখন এনসিপি-সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলি একজোট হওয়ার সলতে পাকাচ্ছে, সেই আবহে বিজেপি সরকারে অজিতের শামিল হওয়ার ঘটনা বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে। বিরোধী শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপি তাদের ‘চাপে’ রাখতে চাইছে বলে মনে করছেন অনেকে। যদিও ভাইপোর পদক্ষেপে ‘বিব্রত’ নন বলে জানিয়েছেন শরদ। আক্রমণ করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে।
শরদ পওয়ার বলেছেন, ‘‘আজ যা ঘটল, তাতে আমি একেবারেই বিব্রত নই।’’ তাঁর কথায়, ‘‘এটা নতুন কিছু নয়। ১৯৮০ সালে আমাদের ৫৮ জন বিধায়ক ছিলেন। তার পর সবাই ছেড়ে গিয়েছিলেন। শুধুমাত্র ছ’জন বিধায়ক ছিলেন। তার পরও ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম। যাঁরা আমায় ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা তাঁদের কেন্দ্রে হেরে গিয়েছিলেন।’’
কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে কংগ্রেসও। মহারাষ্ট্রের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলে বলেছেন, ‘‘ক্ষমতার জন্য বিজেপি সবকিছু করতে পারে। মহারাষ্ট্রের মানুষ ধিক্কার জানাচ্ছে ওদের। কখনওই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে না বিজেপি।’’ রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট বলেছেন, ‘‘বিরোধী দলগুলিকে ধ্বংস করতে চাইছে বিজেপি। বিরোধী নেতারা যে ভাবে একজোট হচ্ছেন, তাতে বিজেপি ভয় পেয়েছে। তাই আঞ্চলিক দলগুলির ঘর ভাঙছে। সঠিক সময়ে যোগ্য জবাব পাবে ওরা।’’ তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেছেন, ‘‘২০২৪ সালে বিজেপি এবং এই বিশ্বাসঘাতকদের সঙ্গে লড়ব। বিজেপিকে হারাতে একজোট হয়ে লড়ব।’’ জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেছেন, ‘‘কোনও নৈতিকতা নেই।’’ আরজেডির মনোজকুমার ঝা জানিয়েছেন, এই ফাটল জোড়া লাগিয়ে ঘুরে দাঁড়াবেন পওয়ার। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘‘মণিপুর জ্বলছে, আর বিজেপি দল ভাঙানোর খেলা খেলছে।’’