NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
এনআরসি রিভেরিফেকশনের কোনও আবেদন জানানো হয়নি, বললেন হিমন্ত
ওয়েটুবরাক, ১০ আগস্ট: এনআরসির চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পরে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে রি-ভেরিফিকেশনের কোনও আবেদনই জানায়নি। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা সোমবার বিধানসভায় এই কথা জানান৷ তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৩০ জুলাই পূর্ণাঙ্গ খসড়া প্রকাশিত হওয়ার পরে রাজ্য সরকার এ নিয়ে যে ইন্টারলোকিউটরি আবদেন জমা দেয় তা সুপ্রিম কোর্ট অগ্রাহ্য করেছে। হিমন্ত জানিয়েছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলিতে ২০ শতাংশ ও অন্যান্য জেলায় ১০ শতাংশ রি-ভেরিফিকেশনের আবেদন রাজ্য জানিয়েছিল। কিন্তু আগের এনআরসি কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজিলা আদালতে জানিয়েছিলেন, তিনি ইতিমধ্যেই ২৭ শতাংশ রি-ভেরিফিকেশন করিয়েছেন। তাই আদালত রাজ্যের আবেদন খারিজ করেছে। সরকার আরও জানিয়েছে, এনআরসি থেকে নাম বাদ পড়াদের স্পিকিং অর্ডার স্ক্যানিংয়ের কাজ ৯৯ শতাংশের বেশি শেষ হয়েছে।
খসড়াছুট ৪০ লক্ষ মানুষের বায়োমেট্রিক সংগ্রহ করার পরে তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য লকড হয়ে রয়েছে। তাঁদের মধ্যে বড়জোর ২ লক্ষ মানুষের আধার কার্ড আগেই ছিল। বাকি ৩৮ লক্ষাধিক মানুষের আধার কার্ড পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে৷ তাঁদের মধ্যে ১৯ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জনের নাম ওঠেনি এনআরসিতে। আরও ১৯ লক্ষ মানুষের নাম এনআরসিতে উঠলেও আধার কার্ড হচ্ছে না। সোমবার বিধায়ক কৌশিক রাই জানতে চেয়েছিলেন, বায়োমেট্রিক লক থাকা মানুষদের আধার কার্ড কী ভাবে মিলবে? আধার না পেলে তাঁরা রেশন কার্ড, আবাস যোজনার মতো সরকারি সুবিধা পাবেন কি না?
সরকারের তরফে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই আধারের ধাঁচে এনআরসির খসড়াছুটদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। এখন তা লকড হয়ে থাকা ও আধার না মেলার বিষয়টি নিয়ে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়াকে জানানো হয়েছে। যেহেতু এনআরসিকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি তাদের এক্তিয়ারভুক্ত। আরও জানানো হয়, অসমের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের অধীনে আবাস যোজনায় আধার লিঙ্ক করা এখনও বাধ্যতামূলক নয়। খাদ্য ও গণবন্টন দফতরও যোগ্য ব্যক্তিদের আধার কার্ড ছাড়াই রেশন কার্ড দিচ্ছে। অবশ্য গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক গ্রামীণ আবাস যোজনার সুবিধাপ্রাপকদের আধার ‘আবাসসফ্ট’ ওয়েবসাইটে আপলোড করতে বলেছে। সেই কাজ চলছে। যাদের আধার আটকে রয়েছে তাদের তথ্য এনআরসির কাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে আপলোড করা হবে।