NE UpdatesBarak UpdatesHappenings
উস্কানিমূলক! প্রদ্যোৎকিশোরকে সতর্ক করল বিডিএফ
ওয়েটুবরাক, ৮ সেপ্টেম্বর : অসত্য ও উস্কানিমূলক বক্তব্য থেকে বিরত থাকতে তিপ্রা মথার চেয়ারম্যান প্রদ্যোত বিক্রম দেববর্মণকে সতর্ক করল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।
মঙ্গলবার আসাম জাতীয় পরিষদের কর্মীসভায় প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য বলেছেন, অসমিয়াদের অবিলম্বে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথা আসাম দ্বিতীয় ত্রিপুরা হবে। তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট। আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায় বলেন, প্রদ্যোত বিক্রমের বক্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য ও উত্তরপূর্বের উপজাতিদের বাঙালিদের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার এক চক্রান্ত। তিনি বলেন, প্রদ্যোতের পূর্বপুরুষ রাধা কিশোর মানিক্য, বীরেন্দ্র কিশোর মানিক্য, বীর বিক্রম মানিক্য সবাই বাঙালিদের অন্তর দিয়ে ভালোবাসতেন। ত্রিপুরার মহারাজারাই বাংলাকে ত্রিপুরার সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। প্রদ্যোত বিক্রম মানিক্যের পিতামহ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথকে ‘ভারত ভাস্কর’ উপাধিতে ভূষিত করেছিলেন এবং বিশিষ্ট বিজ্ঞানী আচার্য্য জগদীশ চন্দ্র বসুকে গবেষণার স্বার্থে অর্থসাহায্য করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সাথে ত্রিপুরার আত্মিক সম্পর্ক ছিল।
প্রদ্যোৎকে ইতিহাস ঘাঁটার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে ত্রিপুরার আয়তন শুধু বর্তমান ত্রিপুরার পার্বত্য অঞ্চলে সীমাবদ্ধ ছিল না। ‘চাকলা রোশানাবাদ’ নামক এক বিস্তীর্ণ সমতল অঞ্চলও ত্রিপুরা রাজার অধীন ছিল ৷ এর মূল অধিবাসীরা ছিলেন বঙ্গভাষী ৷ পরে সমৃদ্ধ অঞ্চল বলে বৃটিশরা এটি দখল করে এবং দেশভাগের সময় নিঃশব্দে এই সমগ্র অঞ্চল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে দিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একমাত্র ত্রিপুরার রাজার প্রতি আনুগত্যের জন্যই এই অঞ্চলের বাঙালিরা বর্তমান পার্বত্য ত্রিপুরায় আশ্রয় নেন দত্তরায়ের দাবি৷ কাজেই বাঙালিরা মোটেই ত্রিপুরায় উড়ে এসে জুড়ে বসেননি তাঁরা প্রথম থেকেই এই রাজ্যের নাগরিক ছিলেন এবং ত্রিপুরায় প্রথম থেকেই উপজাতিরা সংখ্যালঘু ছিল।
প্রদীপ বাবু আরো বলেন, প্রদ্যোৎ বিক্রম মানিক্য একদিকে যেমন আসামে এসে উস্কানি দিচ্ছেন তেমনি ত্রিপুরায়ও উপজাতি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘাত বাঁধিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছেন। প্রদীপ বাবু এদিন ত্রিপুরার উপজাতিভুক্ত সাধারন নাগরিকদের তার ফাঁদে পা না দিয়ে ত্রিপুরার উন্নয়ন ও শান্তিকে প্রাধান্য দেবার অনুরোধ জানিয়েছেন।