NE UpdatesIndia & World UpdatesAnalyticsBreaking News
ইসরো টিমে আসামের ৩ বিজ্ঞানী, গর্বিত রাজ্য
গুয়াহাটি, ২৪ আগস্ট ঃ চাঁদের বুকে চন্দ্রযান পাঠিয়ে বিশ্বের চতুর্থ দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে ভারত। সেইসঙ্গে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণের বিরল কৃতিত্ব অর্জনকারী দেশ হিসেবে ভারত প্রথম স্থানে রয়েছে। যে বিজ্ঞানীদের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে ভারতীয় চন্দ্রযান চাঁদের মাটি স্পর্শ করতে পেরেছে, সেই দলে ছিলেন আসামের তিন বিজ্ঞানী। এই তিন বিজ্ঞানী শিলচরের বিশাল সিংহ, তিনসুকিয়ার নিধি শর্মা ও লখিমপুরের চয়ন দত্ত। স্বাভাবিকভাবেই এই তিনজনকে নিয়ে গর্বে বুক ভরে উঠেছে আসামবাসীর।
বিশাল সিংহের বাড়ি শিলচর শহরের পার্শ্ববর্তী রামনগর টুকোয়। চন্দ্র অভিযানের বিভিন্ন দলের মধ্যে তিনি ছিলেন থার্মাল নিয়ন্ত্রণ টিমে। তাঁর বাবা ওয়াই খাম্বাতন সিংহ ভূমি সংরক্ষণ বিভাগের প্রাক্তন কর্মী। মা ইলারানি সিংহ সরকারি বালিকা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় বিশাল স্কুল জীবনে পড়াশোনা করেন শিলচর কলেজিয়েট স্কুলে। এরপর উচ্চ মাধ্যমিক করেন গুয়াহাটির গুরুকুল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে। সেখান থেকে তিনি গুয়াহাটি আইআইটিতে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেক পাশ করেন। এরপরই ইসরোয় কাজে যোগ দিয়েছেন। বিশালের এই সাফল্যে গর্বিত তাঁর গোটা পরিবার।
তিনসুকিয়ার নিধি শর্মা বর্তমানে রয়েছেন বেঙ্গালুরুতেই। তিনি ন-পুখুরি রাজাআলির দীপক দেব ও শিখা দেবের পুত্রবধূ। তাঁর স্বামী দিবাকর দেব। তিনি বেশ কয়েক বছর ধরেই ইসরোতে কাজ করছেন। চন্দ্রযান-২ এর সময়ও তিনি এই অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। লখিমপুরের চয়ন দত্তকে নিয়েও উচ্ছ্বাসের শেষ নেই। তিনি এই অভিযানে লঞ্চ কন্ট্রোল অপারেশন যুক্ত ছিলেন। অবশ্য নিধিও চন্দ্রযান-৩-এ একই কাজে নিযুক্ত ছিলেন। এই তিন আসাম বিজ্ঞানীকে নিয়ে স্বভাবতই রাজ্যজুড়ে খুশির হাওয়া।