Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিনের সমাবর্তন, পোশাক নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
ওয়ে টু বরাক, ৫ মার্চ : আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দুদিনব্যাপী ২০তম সমাবর্তন সম্পন্ন হল রবিবার। শনিবার বেলা বারোটায় কর্তৃপক্ষের শোভাযাত্রার মাধ্যমে দুদিনব্যাপী এই সমাবর্তনের সূচনা হয়। প্রথম দিন পিএইচডি, স্নাতকোত্তর, স্নাতক ও বৃত্তিমূলক পাঠ্যক্রমের ডিগ্রিধারীদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হয়। দীক্ষান্ত ভাষণ দেন হিমাচল প্রদেশ কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৎপ্রকাশ বনসাল। উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থ, নিবন্ধক ড.প্রদোষ কিরণ নাথ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. সুপ্রবীর দত্তরায় সহ বিভিন্ন স্কুলের ডিন ও প্রধানরা।
এদিনই প্রথম চিরাচরিত গাউন ব্যবহারের প্রথা ভেঙে ভারতীয় সংস্কৃতিতে খাদির পোশাক ও উত্তরীয় পরানো হয় উপস্থিত ডিগ্রিপ্রাপকদের৷ উপাচার্য, অতিথিরাও একই ধরনের পোশাক পরিধান করেন৷ এ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে৷ ব্রিটিশ আমলের গাউন সরানোর দরুন অনেকে কর্তৃপক্ষকে সাধুবাদ জানান৷ সমাবর্তন উপলক্ষে আড়াই হাজার টাকা করে মাশুল আদায়ের সমালোচনা করেন একাংশ পড়ুয়া৷ তাঁদের অভিযোগ, শুধু কিছু সময় পরার জন্য ওই পোশাকের জন্য আড়াই হাজার টাকা, তা মানা যায় না৷ তাদের ক্ষোভ তীব্র হয় একাংশ উত্তরীয়ের গায়ে লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো দেখে৷ উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থ জানান, এ বার ১০,৭৬৯ জন ছাত্রছাত্রী নাম লিখিয়েছিল৷ এত পোশাক কম সময়ে বানানো সম্ভব নয় বলেই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে সব ভাড়া আনতে হয়েছে৷ আগামী বছরের সমাবর্তনে এই ধরনের সমস্যা হবে না বলে আশ্বস্ত করেন তিনি৷
অধ্যাপক সৎপ্রকাশ বনসাল দীক্ষান্ত ভাষণে বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্ণ করে দেশ স্বাধীনতার ১০০ বছরের দিকে এগিয়ে চলেছে। তাই দেশের যুবসমাজ এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে কঠোর পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন। তিনি স্বামী বিবেকানন্দ এবং প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালামের উপদেশগুলির কথা তুলে ধরে তাদের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি জাতীয় শিক্ষানীতির বিভিন্ন দিক নিয়েও বক্তব্য রাখেন।
এদিকে রবিবার সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরাখণ্ড স্টেট কাউন্সিল ফর সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির ডিরেক্টর জেনারেল অধ্যাপক দুর্গেশ পন্থ। অধ্যাপক পন্থ, দীক্ষান্ত ভাষনে জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ এর বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করা ছাত্র-ছাত্রীদের উজ্জল ভবিষ্যৎ কামনা করার পাশাপাশি তাদের আরও এগিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সমাবর্তনে রবিবারের জন্য অংশগ্রহণ করা কিছু ছাত্রছাত্রীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেন তিনি। অনুষ্ঠানে পৌরোহিত্য করেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রাজীব মোহন পন্থ।