Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আলগাপুর বাঁশবাড়িতে সরকারি রাস্তা তলিয়ে যাচ্ছে ফিসারিতে, জনদুর্ভোগ
ওয়েটুবরাক, ৮ জুন: প্রায় ৯০ বছর ধরে মানুষ নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছিল। সেই রাস্তা কেটে পুকুর করা হয়েছে হাইলাকান্দির আলগাপুর বিধানসভার বাঁশবাড়ি গ্রামে। এর দরুণ তিন শতাধিক কৃষক তাদের আবাদ করতে বিপাকে পড়েছেন। জেলা প্রশাসন সহ বিভিন্ন দফতরে আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা৷ নীরব দর্শক সকলে।
ভাটিরকুপার প্রথম খণ্ড গ্রামের সড়কের সঙ্গে যুক্ত অন্তত আড়াইশ মিটার সরকারি রাস্তা। ৭০ বছর আগে তৎকালীন বিধায়ক প্রয়াত মওলানা আব্দুল জলিল চৌধুরী ও প্রয়াত বিধায়ক আব্দুর রহমান চৌধুরী বৃহত্তর পশ্চিম হাইলাকান্দির চন্ডিপুর টি গ্ৰান্ট, বাঁশবাড়ি গ্ৰান্ট, বাঁশবাড়ি দ্বিতীয় খণ্ড, বড়তোয়ার, খাস আফলা ইত্যাদি গ্ৰামের জনগণের সুবিধার জন্য রাস্তাটি নির্মাণ করেছিলেন৷ এর পর প্রয়াত শহিদুল আলম চৌধুরী বিধায়ক থাকার সময়ে সেন্ড গ্ৰেভল তথা মেটালিঙ করিয়েছিলেন৷ রাহুল রায় বিধায়ক থাকার সময়ে এই সড়কের কদমাছড়ায় কালভার্ট নির্মাণ করেন৷ মন্দিরা রায় ও গৌতম রায় এই সড়কে জিতা নদীর উপর আরসিসি সেতু নির্মাণ করেন। তাই এই রাস্তাটি সরকারি রাস্তা হিসেবে কাগজপত্রে লিপিবদ্ধ । রাস্তার দুই পাশের জমির মালিকানা পরিবর্তন হয়ে ফসলি জমিগুলো এখন মৎস্য খামার করা হয়েছে। রাস্তা ধরে বাঁশবাড়ির অন্তত ৩ হাজার একর জমি চাষ করেন এলাকার তিন শতাধিক কৃষক। ফসলের মৌসুমে মাঠ থেকে ধান, সবজি অন্যান্য ফসল তুলে রাস্তা দিয়ে ভাটিরকুপা, মাটিরগ্ৰাম, চন্ডিপুর টি গ্ৰান্ট, বাঁশবাড়ি গ্ৰান্ট ইত্যাদি গ্রামের একাংশের মানুষ নিজেদের বাড়িতে নিয়ে যান৷ এই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই হাইলাকান্দি শহর ও আলগাপুর বাজারে যাতায়াত করতে পারেন বৃহত্তর পশ্চিম হাইলাকান্দির পনেরো হাজার জনতা। রাস্তাটি কেটে নিজেদের মৎস্য খামারে মিশিয়ে দেওয়ায় নাগরিক ভোগান্তি চরমে উঠেছে। বিশেষ করে কর্মজীবী মানুষের ভোগান্তি হয়েছে আরও বেশি।স্থানীয় স্কুলপড়ুয়ারা ভাটিরকুপা এমআরসি হাই স্কুলে যাতায়াত করতে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বৃহত্তর এলাকার জনগণ এই বিষয়ে তদন্ত করে বিহিত ব্যাবস্থা গ্ৰহণ করতে জেলাশাসক সহ জনপ্রতিনিধিদের কাছে জোরালো দাবি জানিয়েছেন।