India & World UpdatesHappeningsBreaking News
আর এক সাফল্য, জওয়াহিরিকে হত্যা করল আমেরিকা
ওয়েটুবরাক, ২ আগস্ট : আলকায়দা প্রধান আয়মান আল-জওয়াহিরিকে হত্যা করল আমেরিকা। সন্ত্রাস দমনে বড় সাফল্য বলেই দাবি করছেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি টুইট করে জানিয়েছেন, “কাবুলে আমেরিকান বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন জওয়াহিরি।”
রবিবার সকাল ৬টা ১৮ মিনিটে মৃত্যু হয়েছে জওয়াহিরির। কাবুলে একটি বাড়ির ব্যালকনিতে খতম করা হয়েছে তাকে। তবে এই হামলায় অন্য কেউ হতাহত হননি বলেই দাবি করা হয়েছে।
ওসামা বিন লাদেনের মৃত্যুর পর জওয়াহিরিই দুর্ধর্ষ জঙ্গি সংগঠনটির নেতৃত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন৷ বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।
টুইটবার্তায় বাইডেন লিখেছেন, ‘যারা আমাদের ক্ষতি করতে চায়, তাদের থেকে আমেরিকার মানুষকে রক্ষা করার সঙ্কল্প ও ক্ষমতা প্রদর্শন জারি রেখেছে আমেরিকা।’ অন্য একটি টুইটে বাইডেন লেখেন, ‘ন্যায়বিচার দেওয়া গেল।’
কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনে পড়াশোনা করেছিলেন জওয়াহিরি। ১৯৭৪ সালে স্নাতক হন। মিশরের সেনাবাহিনীতে শল্য চিকিৎসক হিসাবে তিন বছর কাজ করেছিলেন। পরে নিজের ক্লিনিক খোলেন তিনি।১৯৭৮ সালে শল্য চিকিৎসায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
১৯৮১ সালে মিশরের প্রেসিডেন্ট আনোয়ার আল-সাদাতের হত্যা-পরবর্তী ঘটনায় যাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাঁদের মধ্যে ছিলেন জওয়াহিরি। এর পর থেকেই একের পর এক হামলার ঘটনায় নাম জড়ায় তাঁর। বেআইনি ভাবে অস্ত্র রাখার অভিযোগে তিন বছর জেল হয়েছিল জওয়াহিরির। মুক্তি পেয়ে পাকিস্তানে চলে গিয়েছিলেন৷ তৎকালীন সোভিয়েত বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধরত আফগানিস্তানের জখম ইসলামি মুজাহিদিন গেরিলাদের চিকিৎসার জন্য ‘রেড ক্রিসেন্টে’র সঙ্গে কাজ করেছিলেন জওয়াহিরি।
১৯৮৬ সালে জেদ্দায় ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। পরবর্তী সময়ে লাদেনের ব্যক্তিগত উপদেষ্টা ও চিকিৎসক ছিলেন তিনি।