Barak UpdatesHappeningsBreaking News

আবেদনের দেড় বছরেও নামজারি করতে পারছি না, লিখেছেন কাছাড়ের ভিএইচপি নেতা স্বপন শুক্লবৈদ্য

// স্বপন শুক্লবৈদ্য//

২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর দুই খণ্ড জমির নামজারির জন্য মিশন বসুন্ধরা ১-র আওতায় শিলচর সদর সার্কেলে অ্যাসিস্ট্যান্ট সেটেলমেন্ট অফিসারের কার্যালয়ে আমরা দুইজন যৌথভাবে আবেদন করি । এক বৎসর অতিক্রান্ত হওয়ার পর খবর নিয়ে জানতে পারি, এখনও ওই জমির নামজারি হয়নি। তারপর সংশ্লিষ্ট পাটোয়ারির কাছে না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে উ
তিনি বলেন, আমাদের জমিতে নাকি অনেক ঝামেলা আছে এবং সরেজমিন তদন্ত না করে নামজারি করতে পারবেন না। সেই অনুযায়ী তিনি ১১ মার্চ সকাল সাতটায় আসবেন বললে আমাকে বলেছেন । ওইদিন আমি সকাল ৭টা থেকে অপেক্ষা করে করে বিকাল আড়াইটায় আমার বাড়িতে যান৷ পরে বলেন, আমাদের জমা দেওয়া নামজারি সম্পর্কিত সমস্ত নথিপত্র কার্যালয় থেকে হারিয়ে গেছে। তাই পুনর্বার আমাদের সেইগুলি জমা দিতে হবে৷ বাধ্য হয়ে পুনরায় তাঁকে ২ খণ্ড জমির নামজারি করার আবেদন সহ মূল দলিলগুলোর ফটোকপি তাঁকে প্রদান করি। তিনি অল্পদিনের মধ্যে কাজ হয়ে যাবে বলে আমাকে আশ্বস্ত করেন।
কিন্তু তাঁকে কার্যালয়ে গিয়ে পাচ্ছি না । হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে অনেকবার যোগাযোগ করেও কোন সদুত্তর পাচ্ছি না ৷ তাই গত ১৬ মার্চ আমরা পুনরায় একটি যৌথ আবেদন দাখিল করে জমিগুলোর নামজারির ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করি । পাশাপাশি গত ১৯ এপ্রিল তথ্য জানার অধিকার আইনে নিম্নে বর্ণিত তথ্য চেয়ে আবেদন করি।
১). বসুন্ধরা মিশন ১-এর আওতায় ২ খণ্ড জমি যথাক্রমে সুভাষ নগর, সুষমা অ্যানক্লেভ,কলেজ রোড,শিলচর, ওয়ার্ড নম্বার ২১ এবং অন্যটি সারদামনি লেন, কলেজ রোড, শিলচর ওয়ার্ড নাম্বার ২৫-র নামজারির বিষয়ে গত ২৭-১০-২০২১ ইংরেজি এবং গত ১৬ মার্চ ২০২৩ ইংরেজি তারিখের রিমেন্ডারের যৌথ আবেদনের বর্তমান স্থিতি কী?
২) যদি ইতিমধ্যে ওই দুই খণ্ড জমির নামজারি হয়ে থাকে তবে নামজারির তারিখ ও সন।
৩) যদি না হয়ে থাকে, তবে আজ থেকে কেন ১ বছর ৬ মাস দেরি হয়েছে, তার উপযুক্ত এবং সন্তোষজনক কারণ ব্যখ্যা ।
৪). ২৭/ ১০/ ২০২১ তারিখের পর থেকে যদি কোনও জমির নাম জারি হয়ে থাকে , তবে তা উল্লেখ করে বাধিত করা।
৫). ২৭ /১০/২০২১ ইং তারিখের পর থেকে সুষমা এনক্লেভ,সুভাষ নগর, কলেজ রোড, শিলচর, ওয়ার্ড নাম্বার ২১ পরগনা বরাকপার, এবং মৌজা শিলচর টাউনের আওতাধীনে যদি কোনও জমির নাম জারি হয়ে থাকে, তবে জমি মালিকের নাম, নামজারির জন্য আবেদন করার তারিখ এবং কত তারিখ এবং কোন সনে হয়েছে তার বিবরণ।
৬) নামজারির আবেদনের জন্য অত্যাবশ্যক কী কী ডকুমেন্টের প্রয়োজন এবং আবেদন করার কত বছর পরে সেটা পাওয়া যাবে?

এখন ওই সবের জবাবের অপেক্ষা করছি৷ বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে আমাদের পরবর্তী কালে যারা জমি নামজারির জন্য আবেদন করেছেন,তাদের প্রত্যেকেরই জমির নাম জারি ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা আবেদন করার ১ বছর ৬ মাস অতিক্রান্ত হওয়ার পরও কোনও অজ্ঞাত কারণে এ পর্যন্ত জমি নামজারি হয়নি।
এদিকে, পুনরায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গত ১৪ নভেম্বর বসুন্ধরা ২ উদ্বোধন করেছেন । কিন্তু দুঃখের বিষয়, বসুন্ধরা ১-র মেয়াদ অনেক আগেই উত্তীর্ণ হলেও আমাদের নামজারির কাজ এই প্রকল্পের অধীনে অজ্ঞাত কারণে সম্পন্ন হয়নি।

উল্লেখ্য সমগ্র আসামে রাজ্যব্যাপী মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা এবং তাঁর সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন। এই সময় কিছু অসাধু এবং দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারি কর্মচারী জনগণের অসচেতনতার সুযোগ নিয়ে ব্যাপকভাবে দুর্নীতি করে যাচ্ছেন । সরকার সর্বতোভাবে চেষ্টা করছে, কিন্তু জনসাধারণ যদি সরকারকে সহায়তা না করি তাহলে একা সরকারের পক্ষে দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়। তাই আমি সর্বস্তরের জনগণকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে বর্তমান সরকারকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে আহ্বান জানাচ্ছি।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker