Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আধারবিহীন ২৭ লক্ষের বঞ্চনা ও নাগরিকত্ব ইস্যুতে রবিবার শিলচরে নাগরিক কনভেনশন
ওয়েটুবরাক, ১০ মার্চ : এনআরসি প্রক্রিয়ার দাবি-আপত্তি পর্যায়ে আসামের রাজ্য সরকার আধার কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় মোট ২৭ লক্ষ লোকের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে এবং তাদের বঞ্চিত করে আধার প্রদান করা আটকে রেখেছে। ৫ বছর ধরে আধার আটকে থাকা লোকজন নানা সমস্যা ও হেনস্তার সম্মুখীন হয়ে চলেছেন। বিভিন্ন ধরনের সরকারি সুযোগসুবিধা লাভের থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
এই বিষয়ে আলোচনাক্রমে আন্দোলন কর্মসূচি নির্ধারণ করতে আগামী ১৭ মার্চ ২০২৪ সকাল ১১টায় শিলচর, গান্ধীভবনে এক নাগরিক কনভেনশনের আহ্বান করা হয়েছে।আহ্বায়কদের পক্ষে অরিন্দম দেব ও ফারুক লস্কর এই কনভেনশনে উপস্থিত থাকার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানান৷
তাঁরা বলেন, এখন নির্বাচনের প্রাক্কালে জনগণকে ধোঁকা দিতে সরকার বল সুপ্রিম কোর্টে ঠেলে দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে চাইছে। এনআরসি প্রসঙ্গে বায়োমেট্রিক সংগ্রহ এবং আধার আটকে রাখার কোনও ধরনের আইনি প্রবিধান নেই। সুপ্রিম কোর্টেরও এই বিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট আদেশ নেই। শুধুমাত্র দাবি-আপত্তির জন্য তৈরি এসওপিতে প্যারা নং ৯ যোগ করার মাধ্যমে বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করে আধার আটকে রাখা হয়েছে। কথা ছিল যাদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হবে তাদের সরাসরি আধার ইস্যু করা হবে। এই ২৭ লক্ষের অধিকাংশের নাম ৩১ আগস্ট ২০১৯-এ প্রকাশিত চূড়ান্ত এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু আজও আধার ইস্যু করা হয়নি তাদের নামে। অথচ রাজ্য সরকার চাইলেই মুহূর্তের মধ্যে যাদের নাম এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে তাদেরকে আধার প্রদান করাতে পারে, সেই সংখ্যা ২৭ লক্ষের অর্ধেকের বেশি হবে। বাকিদের নামেও যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে রাজ্য সরকারই আধার প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারে।
ইতিমধ্যে ফোরাম ফর সোশ্যাল হারমনির পক্ষ থেকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপ্রেজেন্টেশন পাঠিয়ে দাবি জানানো হয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনের আগেই যাতে ওই আধার কার্ডগুলো প্রদান করা হয়।