Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আগের মত যাত্রী নিয়েও দ্বিগুণ ভাড়া কেন, বিক্ষোভ এসইউসিআইর
১৯ অক্টোবর: নিত্য প্ৰয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা ও যাত্রীদের কাছ থেকে দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া আদায়ের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণের দাবিতে আজ এসইউসিআইর আসাম রাজ্য কমিটির আহ্বানে রাজ্যব্যাপী বিক্ষোভ কার্যসূচি পালনের অংশ হিসেবে শিলচরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়। ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়ে সেখান থেকে মিছিল করে জেলাশাসকের কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হন দলীয় কর্মী-সমর্থকরা৷ মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা, কালোবাজারী, মুনাফাখোরদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা, পুরোনো যাত্রী ভাড়া বহাল রাখা ইত্যাদি দাবিতে স্লোগান তোলেন তাঁরা।
দলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ শেষে একটি স্মারকপত্র রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নিকট জেলাশাসক মারফত প্রেরণ করা হয়। স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয়, “কোভিড অতিমারীর ফলে গত মাৰ্চ মাস থেকে শুরু হওয়া লকডাউনের সুযোগে পুঁজিপতি, মজুতদার, মুনাফাখোর, কালো বাজারিরা চাল, ডাল, লবন, ভোজ্যতেল, আলু, পেয়াঁজ ইত্যাদি দৈনন্দিন প্ৰয়োজনীয় সামগ্রী এবং জীবনদায়ী ওষুধ, ফলমূল, শাকসব্জি ইত্যাদির দাম মারাত্মক বৃদ্ধি করেছে। এই অতিমারীর ফলে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পথের ভিখিরীতে পরিণত হয়েছে। বহু পরিবারের দুবেলা দুমুঠো খাবার জোগাড় অসম্ভব হয়ে পড়েছে । সরকারের যেখানে উচিত ছিল যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জনসাধারণের জীবন-জীবিকা রক্ষার প্রয়োজনে কাৰ্যকরী ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা সেখানে শোষক পুঁজিপতি শ্ৰেণী যাতে ইচ্ছামতো জনসাধারণকে অবাধে লুন্ঠন করতে পারে তার পথ প্ৰশস্ত করে দিয়েছে ।”
স্মারকপত্রে এও উল্লেখ করা হয় যে খাদ্য সামগ্ৰীর মূল্যবৃদ্ধি দেশের মধ্যে আসামেই সৰ্বাধিক, প্ৰতি কিলো আলু ৫০ টাকা, পেয়াঁজ ৬০ টাকা হওয়ায় গরীব মানুষ তো বটেই, এমনকি মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত শ্ৰেণীর মানুষও এগুলো প্ৰয়োজন মতো কিনতে পারছে না । শাকসব্জির দাম এমন বৃদ্ধি হয়েছে যে কিলো প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকার নিচে কোনও কিছু কেনা যাচ্ছে না। সিন্ডিকেটরাজ বা গুণ্ডাকরের জন্য সমস্ত জিনিসপত্রের দাম অনিয়ন্ত্ৰিত ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্য সরকার কোভিড প্রটোকল মেনে যখন যানবাহনে পঞ্চাশ শতাংশ যাত্রী পরিবহণের নির্দেশ দিয়েছিল তখন যাত্রীদের কাছ থেকে দিগুণ, তিনগুণ ভাড়া যানবাহন মালিকেরা আদায় করেছে ।
বর্তমানে রাজ্য সরকার যানবাহনে পূর্ণ ক্ষমতায় যাত্রী পরিবহণ ও পুরনো ভাড়ায় চলাচলের নির্দেশ দেয়। কিন্তু যানবাহন মালিকেরা এই নির্দেশ অমান্য করে লকডাউন চলাকালীন সময়ের মতোই দ্বিগুণ, তিনগুণ ভাড়া যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করছে৷ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এব্যাপারে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দলের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, রাজ্যের শ্রমজীবী সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের স্বার্থে আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ও যানবাহনগুলো পুরনো ভাড়ায় চালানোর জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে৷ নইলে দল বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবে । আজকের আন্দোলন কার্যসূচিতে উপস্থিত ছিলেন দলের জেলা সম্পাদক ভবতোষ চক্রবর্তী, জেলা কমিটির অন্যতম সদস্য যথাক্রমে সুব্রত চন্দ্র নাথ, অজয় রায়, লক্ষীচরণ আকুড়া, দুলালী গাঙ্গুলী, হিল্লোল ভট্টাচার্য প্রমুখ৷