NE UpdatesHappeningsBreaking News
আইজলে এসে উত্তর-পূর্বের প্রতি মোদির দরদের কথা বললেন অমিত শাহ
ওয়েটুবরাক, ২ এপ্রিল : দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং সন্ত্রাসের জন্যই এতদিন উত্তর-পূর্বাঞ্চল দেশের বাকি অংশ থেকে পিছিয়ে ছিল। নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভা ওই দুই জায়গাতেই হাত দিয়েছে। সাফল্যও মিলছে একের পর এক। আইজলে এসে এই দাবি করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ জানান, রেল, সড়ক ও আকাশপথে উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য বিভিন্ন প্রকল্পে উত্তর-পূর্বে ১ লক্ষ ৭৬ হাজার কোটি টাকার কাজ চলছে। ২০২৫ সালের মধ্যে ওইসব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
তিনি এ প্রসঙ্গে কালাদান মাল্টিমডেল ট্রানজিট ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্টের কথাও উল্লেখ করেন৷ শাহ বলেন, শুধু উত্তর-পূর্ব নয়, দেশের সামগ্রিক উন্নতিতে এই প্রজেক্ট বিশেষ ভূমিকা নেবে। এটি ভারত এবং মায়ানমার সরকারের যৌথ প্রকল্প। পূর্বাঞ্চলের বন্দর সমূহ থেকে মায়ানমারের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন দেশে ভারতীয় পণ্য পাঠানো হবে। আবার একই ভাবে মায়ানমার হয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী আমদানি করা হবে।
শাহের দাবি, তাঁদের প্রয়াসেই উত্তর-পূর্বে শান্তি ফিরে এসেছে৷ ৮০০০ জঙ্গি আত্মসমর্পণ করে মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন। হিংসা ছেড়ে তারা শান্তির মউয়ে স্বাক্ষর করেছেন।
এই অঞ্চলের প্রতি মোদির ভালবাসার প্রমাণ দিতে গিয়ে তিনি গত নয় বছরে ৫৩ বার প্রধানমন্ত্রীর উত্তর-পূর্বে আসার কথা উল্লেখ করেন। বলেন, তিনিই অন্যান্য মন্ত্রীদের ৪৩২ বার এই অঞ্চলে পাঠিয়েছেন।
শনিবার মিজোরামে আড়াই হাজার কোটি টাকার ১১টি প্রকল্পের উদ্বোধন-শিলান্যাস করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আইজল থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে জখাওসঙে আসাম রাইফেলসের ব্যাটেলিয়ন সদর দফতরের উদ্বোধন করেন তিনি। এ ছাড়াও স্মার্ট সিটি প্রজেক্ট, আইজল বাইপাস রোড এবং আইজল, চাম্পাই ও মামিত জেলার বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন। লালডেঙা কালচারাল সেন্টারেরও শিলান্যাস হয় এ দিন। ১৯৬৬ সাল থেকে দুই দশকের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের কাণ্ডারি ছিলেন লালডেঙা। কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি আলোচনার পরে তিনি সদলবলে অস্ত্রসমর্পণ করেন। ১৯৮৭ সালে মিজোরাম রাজ্য গঠনের পর লালডেঙাই হন প্রথম মুখ্যমন্ত্রী। দল এবং সরকারে তাঁর উত্তরসূরি, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী জোরাম থাঙ্গাকে ‘ভারতীয় গণতন্ত্রের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেন অমিত শাহ।
জোরামথাঙ্গা বলেন, লালডেঙা কালচারাল সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগে এমএনএফ সহ রাজ্যবাসীর এক বড় প্রত্যাশা পূরণ হতে চলেছে। এ ছাড়া, ১৯৯০ সালে এমএনএফ কথা দিয়েছিল, আইজল শহর থেকে সেনাসদর সরানো হবে। আসাম রাইফেলসকে নতুন জায়গা দিয়ে ওই প্রতিশ্রুতিও পূরণ করা হল।