Barak UpdatesHappeningsBreaking News
আইআইটিতে ভর্তি, নিজেদের ছাত্র অর্চিস্মানকে কালাম ইনস্টিটিউটের সংবর্ধনা
ওয়েটুবরাক, ২ অক্টোবর : জেইই অ্যাডভান্সে সারা ভারতের তালিকায় ২৪৭৬ নম্বরে স্থান করেছেন শিলচরের ছাত্র অর্চিস্মান ভট্টাচার্য। কাউন্সেলিঙে সফল হওয়ার পরে তিনি এরই মধ্যে মর্যাদাসম্পন্ন আইআইটি মুম্বাইয়ে ভর্তিপ্রক্রিয়া সেরে নিয়েছেন। আশা করছেন, দুই-চারদিনের মধ্যে আরও ভালো কোনও আইআইটি থেকে ডাক পড়বে। এমন কৃতীকে যারা পড়িয়েছেন, গর্ব তাদেরও কম নয়। তাই শিলচরের ড. কালাম ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড এডুকেশন শুক্রবার অর্চিস্মানকে বিপুল ভাবে সংবর্ধিত করে। উপস্থিত ছিলেন তাঁর মা চন্দ্রাণী চক্রবর্তী ও বাবা অরিজিত ভট্টাচার্য। দুজনই পেশায় শিক্ষক। উভয়ই বলেন, এই ইনস্টিটিউটই অর্চিস্মানকে তৈরি করে দিয়েছে। তাঁরা বিশেষ ভাবে উল্লেখ করেন দুই শিক্ষক সব্যসাচী দাস ও সুপ্রতীক রায়ের কথা।
২০২০ সালের এপ্রিলে আচমকাই অর্চিস্মান এক জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। করোনার জন্য তখন চিকিতসার জন্য বাইরে যেতে পারেননি। ২১-এ দফায় দফায় বাইরে নিয়ে চিকিতসা করানো হয়। সব মিলিয়ে ছয়মাস শয্যাশায়ী থাকতে হয়। সবাই ভাবছিলেন, অসুস্থতা ছেলেটার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিল। কিন্তু অর্চিস্মান একে এক ধরনের সুযোগ হিসেবেই ধরে নিয়ে সময়টাকে কাজে লাগালেন। বিছানায় পড়ে থেকে সারা সময় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের যাবতীয় বিষয় নাড়াচাড়া করে নিয়েছিলেন।
চন্দ্রাণীদেবী উপস্থিত ছাত্রদের বলেন, সে যেহেতু এমন শারীরিক সমস্যা নিয়ে সফল হয়েছেন তোমরাও চেষ্টা করে যেও। সফল হবেই। অরিজিতবাবু শোনান, উপযুক্ত কোচিংয়ের ব্যবস্থা নেই বলে বরাক উপত্যকায় এই ধরনের পরীক্ষায় সফল হওয়ার হারটা একেবারে নগণ্য। কালাম ইনস্টিটিউট এই অভাব কিছুটাও হলেও পূরণে ব্রতী রয়েছে।
কালাম ইনস্টিটিউটের দুই কর্ণধার সব্যসাচী-সুপ্রতীক জানান, তাঁদের এখানে অত্যন্ত যত্নের সঙ্গে পড়ানো হয়। তাঁরা আশাবাদী, শীঘ্রই এখানে আরও অর্চিস্মা বেরিয়ে আসবে।