Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অস্থায়ী মণ্ডপে পুজোর অনুমতি চেয়ে জেলাশাসকের কাছে ২৪ পূজা কমিটি
৬ অক্টোবরঃ রাজ্যের মুখ্যসচিবের পুজো-নির্দেশিকা কি কাছাড়ের জেলাশাসকের নির্দেশিকা, অস্থায়ী মণ্ডপে পুজোর ক্ষেত্রে আপত্তি দুইয়েতেই। তাই অস্থায়ী মণ্ডপে পুজোর অনুমতি চেয়ে মঙ্গলবার জেলাশাসক কীর্তি জল্লির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন শিলচর শহরের ২৪টি পুজো কমিটির কর্মকর্তারা।
তাঁরা জানান, অধিকাংশ পুজো কমিটিরই স্থায়ী মণ্ডপ নেই। দীর্ঘকাল ধরে তাঁরা রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় পুজো করছেন। তাতে যানবাহন চলাচল বিঘ্নিত হয় না বলেই তাঁরা জেলাশাসককে জানান। একই কথা জানিয়ে তাঁরা চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছেও।
তাঁদের বক্তব্য, প্রতিমার উচ্চতা এই সময়ে আর ৫ ফুটে বেঁধেে নেওয়া সম্ভব নয়। পুষ্পাঞ্জলির জন্য মণ্ডপের ভেতরে যেন একসঙ্গে ১০ জনের বেশি না হয়, জেলাশাসকের এসওপি-র এই নির্দেশেও তাঁরা সংশোধনী চান। বলেন, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দিতে হয়, তাই একে ৩০ জন করার দাবি করেন তাঁরা। একইভাবে বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পুজো-পিছু ৫০ জনের অনুমতি দিতে আর্জি জানান। নানা পুজো কমিটির কর্মকর্তাদের বক্তব্য, সাউন্ড-লাইট একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হলে যে পুজো-পুজো ব্যাপারটাই থাকে না। আর রাত ১০টায় পুজো মণ্ডপ বন্ধ করে দিলে ভিড় বাড়বে বলে জানিয়ে তাঁরা আরও কয়েকঘণ্টা বাড়িয়ে দিতে বলেন।
জেলাশাসকের এসওপিতে পুজো কমিটিগুলিকে একটি অ্যাম্বুলেন্স রাখতে বলা হয়েছিল। পুজো কমিটি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এটা একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। অ্যাম্বুলেন্স মোতায়েনের দায়িত্ব প্রশাসনকেই নিতে তাঁরা অনুরোধ জানান।
এ দিন জেলাশাসক তাঁদের দাবি ও যুক্তিগুলি মনোযোগ সহ শোনেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দেন। সেই সঙ্গে এই কথাও শুনিয়ে দেন, অস্থায়ী মণ্ডপে পুজোর অনুমতি দেওয়া তাঁর এক্তিয়ার ভুক্ত নয়। এটি মুখ্যসচিবের এসওপিতেই উল্লেখ রয়েছে। মুখ্যসচিবকে লেখা তাঁদের এ সংক্রান্ত স্মারকলিপি তিনি তাঁকে পৌঁছে দেবেন বলে পুজো আয়োজকদের বলেন জেলাশাসক৷
স্মারকলিপিতে সই করেছেন তারাপুর মোটর স্ট্যান্ড দুর্গাপূজা কমিটির দীপায়ন চক্রবর্তী, আনন্দ পরিষদের দেবব্রত চক্রবর্তী, কালীমোহন রোড পূজা কমিটির ডা. রাজীব কর, প্রথমপল্লী ক্লাবের এস মজুমদার, কালীবাড়ি রোডপূজা কমিটির জয়দীপ দত্ত, রেলস্টেশন দুর্গাপূজা কমিটির স্বপন নাথ, তারাপুর রাইস মিল সর্বজনীনের শৈবাল দত্ত, স্বস্তিপল্লী পূজা কমিটির তুলসীরঞ্জন নাথ, ২৮ নং পল্লীর পক্ষে মমতা ভট্টাচার্য, অম্বিকাপুর-পূর্বপাড়া পূজা কমিটির তমালকান্তি বণিক, এনএন দত্ত রোড পূজা কমিটির দীপঙ্কর দেবরায়, শ্যামাপ্রসাদ রোড পূজা কমিটির দীপঙ্কর মিশ্র, মধ্যশহর পূজা কমিটির শুচিব্রত নন্দী, ২৩ পল্লী নাজিরপট্টি কমিটির মনোজ পাল, সোনাই রোড সর্বজনীনের গোলাপ রায়, অম্বিকাপুর পূজা কমিটির নিরূপম গুপ্ত, অল মেডিক্যাল সেলস পিপলের এএস দত্ত, সুভাষনগর-কলেজ রোড পূজাা কমিটির বিশ্বজিত দত্ত প্রমুখ।