NE UpdatesHappeningsBreaking News
অসমিয়ারা যেখানে চায় না, সেখানে অন্যরা যাবেন না, মুখ্যমন্ত্রীর নিদান
ওয়েটুবরাক, ২৭ আগস্ট : সাতদিনের মধ্যে মিঞাঁদের উজান আসাম ছাড়তে বলা হলেও একে ঘিরে কোথাও কোনও হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেনি৷ একমাত্র নাজিরাতেই একটি ঘটনা ঘটেছিল৷ এর পরেই আন্দোলনকারীরা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আইন হাতে নেবেন না৷ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মঙ্গলবার এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷
পাশাপাশি তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তিনি নানা ভাবে তুলে ধরেন৷ সেইসঙ্গে জানিয়ে দেন, “অসমিয়ারা যেখানে চান না, সেখানে অন্যরা যাবেন না৷” তাঁর কথায়, ভূমিপুত্রদের অধিকার সুরক্ষার কথা রাষ্ট্রসঙ্ঘও বলেছে৷ আর সুপ্রিম কোর্ট সে দিনও বলেছে, আসামে আগ্রাসন চলছে৷ একই কথা বলেছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুরাম মেধি৷ হিমন্তের ব্যাখ্যা, “ভূমিপুত্রদের অধিকার সুরক্ষিত থাকলে অন্যরাও শান্তিতে থাকবেন৷”
বরপেটা, ধুবড়ি সহ মুসলমান প্রধান অঞ্চলে হিন্দুদের বিতাড়িত করা হয় বলে অভিযোগ করেন হিমন্ত৷ তিনি বলেন, নিম্ন আসামে ভূমিপুত্রদের প্রায়ই হুমকি-ধমকি শুনতে হয়৷ আর হিন্দুরা অত্যাচারিত হলেও সেখানকার জনপ্রতিনিধিরা তাদের দেখতে যান না, সুরক্ষার আশ্বাস দেন না৷ ফলে বাধ্য হয়ে হিন্দুরা ওই সব এলাকা থেকে সরে আসেন৷ এই অবস্থা পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ক্ষেত্রে আইনজীবীদেরও বিশেষ ভূমিকা নিতে হবে৷ ধর্ষণ, যৌন নির্যাতনের মামলায় নিজ ধর্মের আইনজীবীরা অপরাধীদের হয়ে মামলা লড়বেন না৷
তাঁর বক্তব্যের মধ্যেই অখিল গগৈ, আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম প্রমুখ বিরোধী বিধায়করা প্রতিবাদে সরব হন৷ পাল্টা যুক্তি দেখান৷ সে সময় অখিল গগৈকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করেন অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ দৈমারী৷ বিরোধীরা জানতে চান, এক জেলার মানুষকে অন্য জেলায় যাওয়ার ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী আপত্তি করতে পারেন কিনা৷ হিমন্ত বলেন, তাদের যাওয়ার আইনি অধিকার রয়েছে বটে, কিন্তু আইনি অধিকার ও সামাজিক স্পর্শকাতরতা পৃথক বিষয়৷ সমাজের স্পর্শকাতরতা না মানলে আইনশৃঙ্খলা টিঁকিয়ে রাখা মুশকিল হবে বলেই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী শর্মা৷