Barak UpdatesHappeningsBreaking News
অশোক বার্মা সাহিত্যিক পেনশন পেলেন, তালিকায় দুই বাঙালিও
ওয়েটুবরাক, ৭ ডিসেম্বর : অসম সরকারের চলতি বর্ষের সাহিত্যিক পেনশন পেলেন তেইশ জন। গত বছর থেকে এই পেনশন তুলে দেওয়ার জন্য প্রথিতযথা সাহিত্যিক-সাংবাদিক প্রয়াত হোমেন বরগোহাঞির জন্মদিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। শুধু অসমিয়া নয়, বড়ো, মিসিং, কার্বি, রাভা, চা জনগোষ্ঠী, মণিপুরি প্রভৃতি বিভিন্ন ভাষার সাহিত্যিকদের হাতে আজ বুধবার এই পেনশন তুলে দেন অসমের শিক্ষামন্ত্রী ড. রনোজ পেগু। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট অতিথি হিসাবে ছিলেন অসম সরকারের শিক্ষা-উপদেষ্টা ড. ননীগোপাল মহন্ত এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। মুখ্য বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট অসমিয়া কথাসাহিত্যিক “অনুরাধার দেশ”-খ্যাত ফণীন্দ্রকুমার দেবচৌধুরী।
বরাকের প্রবীণ সাহিত্যকর্মী অশোক বার্মা তাঁর জীবনজোড়া সাহিত্যচর্চার জন্যে মনোনীত হয়েছেন। শিলচরের নরসিং উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যক্ষ অশোকবাবু বাংলা ও হিন্দি উভয় ভাষায় মৌলিক সাহিত্য রচনা করেছেন, করেছেন অনুবাদও৷ আবার তাঁর লেখাও অন্য ভাষায় অনুদিত হয়েছে৷ ব্রহ্মপুত্র উপত্যকা থেকে সাহিত্যিক পেনশন পেয়েছেন দুজন বাঙালি সাহিত্যিক শিশির সেনগুপ্ত এবং রতীশ দাস। দুজনেই মৌলিক রচনার পাশাপাশি অনুবাদের জন্য এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। রতীশ দাস উত্তর-পূর্বের লিটল ম্যাগাজিন আন্দোলনের অন্যতম হোতা এবং বিশিষ্ট কবি।
তাঁদের এই স্বীকৃতিতে “বাংলা সাহিত্য সভা, অসম”-এর রাজ্য সভাপতি খগেনচন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক ড. প্রশান্ত চক্রবর্তী আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁরা বলেন, অসমের সমস্ত জনগোষ্ঠীর সাহিত্য চর্চাকারীদের মধ্য থেকে প্রতিনিধিত্বমূলক এই পেনশন প্রদান সমতা ও সমন্বয়ের বার্তা বহন করছে। অভিনন্দন জানিয়েছেন অসম সরকারের “ভাষিক উন্নয়ন পর্ষদ”-এর সভাপতি শিলাদিত্য দেবও।
এদিন ভাষণ প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ডা. রনোজ পেগু বলেন, অসমের স্থানীয় কথ্য ভাষাগুলোও সাহিত্যে উঠে আসুক। আর সাহিত্যিকেরা বিশ্বসাহিত্য অধ্যয়নে ব্রতী হলে তবেই আমাদের সাহিত্য বিশ্বমান অর্জন করতে পারবে। তিনি আরও বলেন, বাঙালিরা যতটা ভ্রমণপিপাসু, অসমিয়ারা ততটা নয়। অসম তথা উত্তরপূর্বের মনোরম প্রকৃতি ও মানুষের কাছে যেতে হবে, তবেই সাহিত্য সমৃদ্ধতর হয়ে উঠবে।
Literary Pension is part of our initiative to acknowledge the contribution of writers towards enriching the literary world.
Greetings to all the beneficiaries of Literary Pension 2022!
I'm certain this token of appreciation will aid them in their literary pursuits. pic.twitter.com/Mys1TdzEU6
— Himanta Biswa Sarma (@himantabiswa) December 7, 2022
গুয়াহাটির শংকরদেব কলাক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত এই বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে বাংলা সাহিত্য সভা, অসম-এর শিলচর শাখার সভাপতি সমরবিজয় চক্রবর্তী সহ অসমের বিভিন্ন সাহিত্য সভার সভাপতি সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।