NE UpdatesHappeningsBreaking News
অরুণাচলে প্রত্যন্ত এলাকায় ওষুধ পৌঁছাতে চালু হচ্ছে ড্রোন সার্ভিস
ওয়েটুবরাক, ১২ আগস্ট : অরুণাচল পাহাড়ি রাজ্য। সেখানকার বহু গ্রামই দুর্গম এলাকায়। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ি চলার মতো রাস্তা নেই। কয়েক দিন ধরে পাহাড়-জঙ্গল পায়ে হেঁটে তবে শহরে পৌঁছাতে পারেন গ্রামের মানুষ। সরকারের পক্ষেও দুর্গম গ্রামে সড়ক পথে ওষুধ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই পেমা খান্ডুর সরকার ডব্লুইএফের সঙ্গে ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানোর জন্য চুক্তি করেছে।
তবে ড্রোন দিয়ে ওষুধ পাঠানোর গোটা প্রক্রিয়াটি খুব একটা সহজ নয়। তাই ১৫ আগস্ট অরুণাচল সরকার ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পূর্ব কামেং জেলায় ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানোর কাজ পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করতে চলেছে।
দেখা হবে, প্রত্যন্ত পাহাড়ি গ্রামে ড্রোন সফলভাবে ওষুধ পৌঁছে দিতে পারে কী না এবং সেখানকার মানুষ ড্রোনের মাধ্যমে পাঠানো ওষুধের সদ্ব্যবহার করতে পারেন কী না। আরও দেখে নেওয়া হবে কোথায় কী সমস্যা হচ্ছে। তারপরেই ধীরে গোটা রাজ্যে এই প্রকল্প চালু করা হতে পারে।
পূর্ব কামেং জেলার জেলাশাসক প্রভিমল অভিষেক পলুমাতলা জানান, সেখানকার পার্বত্য অংশে, বিশেষ করে বর্ষাকালে পৌঁছানো দুঃসাধ্য। তাই ড্রোনের মাধ্যমে ওষুধ পাঠানো গেলে সেখানকার স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আসতে পারে। জেলাসদর সেপাকে কেন্দ্র করে এই ড্রোনভিত্তিক ওষুধ সরবরাহ প্রকল্প কাজ শুরু করবে। সেখান থেকে জেলার সব প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, সিএইচসিস, ল্যাবরেটরির সঙ্গে গড়ে তোলা হয়েছে নেটওয়ার্ক। ভারতীয় স্টার্ট আপ সংস্থার তৈরি উল্লম্বভাবে উঠতে-নামতে সক্ষম, মালবাহী বড় ড্রোন ব্যবহার করা হবে ওষুধ পাঠানোর কাজে।
পলুমাতলা জানান, ওষুধ পাঠানোর পাশাপাশি বিভিন্ন পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ, ফলাফল পাঠানো, প্রতিষেধক পাঠানোর কাজেও ড্রোন ব্যবহার করা হবে। সড়কপথের তুলনায় আকাশপথে এই পরিষেবা মিললে সময় অনেক কম লাগবে। খরচও অনেকটাই কমবে। প্রকল্পের বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে পাহাড়ি গ্রামে গ্রামে সচেতনা শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। নিয়োগ করা হয়েছে ‘ড্রোন দূত’। ছাত্রছাত্রীদের আগ্রহ বাড়াতে জেলা পর্যায়ে ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়েছে