NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
অনসমিয়াদের নাগরিকত্বহীন করার চক্রান্তেই এনআরসির ১০০শতাংশ পুনঃপরীক্ষার দাবি, বলল সিআরপিসিসি
ওয়েটুবরাক, ২২ মে: এনআরসি’র রাজ্য সমন্বয়ক হীতেশ দেব শর্মা এনআরসি’র তালিকা ১০০ শতাংশ পুনঃপরীক্ষণ করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে আবেদন করার ঘটনায় রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণের মধ্যে যে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে তাতে নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে। কমিটির চেয়ারম্যান ড. তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যের ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগণকে নাগরিকত্বহীন করার চক্রান্ত স্বরূপ এই হলফনামা জমা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার এনআরসি তালিকা ১০০ শতাংশ পুনর্বার যাচাই করার কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। তাহলে কার নির্দেশে এনআরসি’র রাজ্য সমন্বয়ক হীতেশ দেব শর্মা এধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন?
তপোধীর ভট্টাচার্য এও বলেন, যদি এনআরসি তালিকা তৈরি সঠিক না হয় তাহলে এ কাজে যেসব আধিকারিকরা যুক্ত ছিলেন তাদের শাস্তি প্রদান করা হোক৷ তা না করে উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদীদের অন্যায় দাবিকে মেনে নিয়ে সত্তর-আশি লক্ষ অনসমিয়া জনগণকে নাগরিকত্বহীন করার নয়া নক্সা তৈরি হয়েছে। সিআরপিসিসি এনআরসি’র সর্বশেষ তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকেই দাবি জানিয়ে এসেছে, ভারতের রেজিস্টার জেনারেলকে দ্রুত এই তালিকা গ্রহণ করে নোটিফিকেশন জারি করতে হবে এবং তালিকাভুক্ত না হওয়া নাগরিকদের বিতর্কিত ফরেনার্স ট্রাইবুনালের পরিবর্তে পূর্ণাঙ্গ ন্যায়িক প্রক্রিয়ায় বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে নাম তালিকাভুক্ত করতে হবে।
সিআরপিসিসি নথিহীন নাগরিকদের জন্য ভারতের সাক্ষ্য আইনের ধারায় প্রতিবেশীর সাক্ষীকেও বিবেচনায় আনতে বারবার দাবি জানিয়ে এসেছিল। কিন্তু চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের দু’বছর পরও আরজিআই নোটিফিকেশন জারি না করার পেছনে যে উগ্র-প্রাদেশিকতাবাদী শক্তির প্রবল চাপ কাজ করছে তা আর বুঝতে বাকি নেই। সিআরপিসিসির কেন্দ্রীয় কমিটি রাজ্যের বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন সহ সম-মনোভাবাপন্ন সংগঠনগুলিকে আহ্বান জানাচ্ছে, এই চক্রান্তকে ভেস্তে দিতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে পাল্টা হলফনামা জমা দিয়ে আইনি লড়াই লড়তে হবে।
সিআরপিসিসি রাজ্য সরকারের নিকট দাবি করে, কোনও অবস্থায় যাতে পুনঃপরীক্ষণের নামে ভাষিক ও ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া না হয়। ২০১৫ সাল থেকে আসামে এনআরসি’র তালিকা তৈরির নামে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে বাধ্য হওয়া জনগণকে পুনর্বার যেন নরক যন্ত্রণা ভুগতে বাধ্য না করা না হয়৷