NE UpdatesHappeningsBreaking News

অঙ্কিতার মামলায় যুব কংগ্রেস সভাপতিকে ২ মে দিসপুর থানায় হাজিরার নির্দেশ

ওয়েটুবরাক, ২৩ এপ্রিল : মহিলাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন মামলায় অসম পুলিশ সর্বভারতীয় যুব কংগ্রেস সভাপতি শ্রীনিবাস বিভিকে ডেকে পাঠিয়েছে৷ আগামী ২ মে তাঁকে গুয়াহাটিতে এসে দিসপুর থানায় হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ কিন্তু নোটিস পৌঁছে দিতে তারা তাঁর বেঙ্গালুরুর বাড়িতে গেলেও তাঁকে পায়নি৷ তাই বাড়ির গেটেই সেটি সেঁটে আসে৷  সদ্যপ্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী অঙ্কিতা দত্তের এজাহারের ভিত্তিতে আসাম পুলিশ যে এই ধরনের একটা ব্যবস্থা নিতে চলেছে, শনিবারই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷

ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১(এ) ধারার উল্লেখ করে পূর্ব গুয়াহাটি পুলিশের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার মৈত্রেয়ী ডেকা স্বাক্ষরিত ওই নোটিসে বলা হয়েছে, গত ২০ এপ্রিল তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের হয়েছে৷ এর নম্বর ৬৯২/২০২৩৷ তাতে তাঁকে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫০৯, ২৯৪, ৩৪১, ৩৫২, ৩৫৪, ৩৫৪ (এ ১৪), ৫০৬ ধারা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৭ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে৷ এই প্রেক্ষিতে তদন্তের স্বার্থেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হয়৷ নির্দিষ্ট দিনে হাজির না হলেই যে তাঁকে গ্রেফতার হতে হবে, তাও নোটিসে স্পষ্ট বলা রয়েছে৷
গুয়াহাটি মহানগর পুলিশের জয়েন্ট কমিশনার প্রতীক থুবে বেঙ্গালুরু থেকে জানান, তিনি স্থানীয় পুলিশকর্তাদের নিয়ে শ্রীনিবাসের বাসভবনে গিয়েছিলেন৷ কাউকে সেখানে পাননি৷ তাই নোটিস সেঁটে দিয়ে এসেছেন৷ এর একটি কপি শ্রীনিবাসের পৈতৃক বাড়িতে পাঠানো হয়েছে৷
২ মে দিসপুর থানায় হাজিরার কথা বলতে গিয়ে নোটিসে অনেকগুলি ডু-ডু নটও লেখা হয়েছে৷ এর মধ্যে রয়েছে, ভবিষ্যতে কোনও ধরনের অপরাধ করবেন না বলে নিশ্চিত করতে হবে৷ এ ছাড়া, এই মামলার কোনও সাক্ষ্যপ্রমাণ নষ্ট করবেন না৷ আদালত বা পুলিশ অফিসারের কাছে এই মামলার কোনও তথ্য প্রকাশ করা বা না করার জন্য কাউকে হুমকি প্রদর্শন বা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করানো যাবে না৷ যখনই তাকে ডাকা হবে, তিনি উপস্থিত হবেন বলেও পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে৷ তদন্তের প্রয়োজনে যখন যেমন বলা হবে, তাকে সহযোগিতার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে৷ কোনও কিছু গোপন না করে যতটুকু জানা রয়েছে, সব ঠিকঠাক প্রকাশ করতে হবে৷
অসম প্রদেশ যুব কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অঙ্কিতা দত্ত দিসপুর থানায় এজাহার দিয়ে বলেন, শ্রীনিবাস তাঁকে প্রচণ্ড মানসিক নির্যাতন করেছেন৷ গত ছয়মাস ধরে বিভিন্ন আপত্তিকর মন্তব্য করেন৷ দলীয় নেতৃত্বকে অভিযোগ জানালে পরিণাম খারাপ হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন৷
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত শনিবার বলেন, “প্রথমে আমি একে কংগ্রেসের অভ্যন্তরিণ ব্যাপার বলে মনে করেছিলাম৷ পরে খোঁজ নিয়ে দেখি, এ তো এক মহিলার শ্লীলতার ব্যাপার৷ কংগ্রেস ওই মহিলার পাশে দাঁড়ায়নি৷ তাই আইন মেনেই এখন ব্যবস্থা নিতে হচ্ছে৷”
রবিবার মৈত্রেয়ী ডেকা স্বাক্ষরিত নোটিসের কপি হিমন্ত নিজেই টুইটারে পোস্ট করেন৷ সঙ্গে জানান, এখন আসাম পুলিশ আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে৷ তিনি এও উল্লেখ করেন, “কংগ্রেস দলে মহিলাদের কাজ করার নিরাপদ পরিবেশ নেই, সে জন্য আমাকে দোষারোপ করা অনৈতিক ৷” তিনি অভিযুক্তকে তদন্তকারীদের সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন৷

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker