NE UpdatesHappeningsBreaking News
1615 NDFB militants surrendered arms in Guwahatiঅস্ত্র সহ ১৬১৫ এনডিএফবি ক্যাডারের আত্মসমর্পণ গুয়াহাটিতে
৩০ জানুয়ারি : ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট অব বড়োল্যান্ড অর্থাৎ এনডিএফবি-র চারটি গোষ্ঠীর মোট ১৬১৫ জন সদস্য বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে অস্ত্রশস্ত্র সহ আত্মসমর্পণ করেছে। আত্মসমর্পণের সময় এই সদস্যরা ১৭৮টি স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র সহ বেশকিছু গুলিবারুদ জমা দিয়েছে। এ দিন আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ৮৩৬ জন এনডিএফবি প্রগতিশীল দুটি গোষ্ঠীর সদস্য। ৫৭৯ জন রঞ্জন দৈমারি গোষ্ঠীর এবং দুশ’ জন সাওরাইগাওরা গোষ্ঠীর সদস্য রয়েছে।
এই অস্ত্রসমর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বলেছেন, এনডিএফবি যে রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চায় এই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে তারা তার প্রমাণ দিয়েছে। তিনি বলেন, সরকার আত্মসমর্পণ করা সব সদস্যের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন সুনিশ্চিত করবে। তিনি আসামকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলার কাজে এগিয়ে আসতে আত্মসমর্পণকারীদের প্রতি আহ্বান জানান। এই চুক্তিটি বাস্তবায়িত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী সোনোয়াল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীর ৭২ তম মৃত্যু দিবসে এই আত্মসমর্পণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হওয়ায় তিনি এই দিনকে ঐতিহাসিক বলে আখ্যা দেন।
অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা আত্মসমর্পণকারী সদস্যদের পুনর্বাসনের জন্য একটি বিস্তৃত প্রকল্প প্রস্তুত করা হবে বলে ঘোষণা করেন। তিনি আলফা স্বাধীন গোষ্ঠীর প্রধান পরেশ বড়ুয়াকে এই শান্তি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সারা বড়ো ছাত্র সংস্থার সভাপতি প্রমোদ বড়ো এই চুক্তিটি অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়িত করার জন্য আসাম সরকারের প্রতি আবেদন জানান। অনুষ্ঠানে ভাষণ প্রসঙ্গে বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারি বলেন, এই শান্তি চুক্তি বিটিসি অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও উন্নয়নের পাশাপাশি রাজ্যের উন্নয়নে বিশেষভাবে শায়ক হবে। এই অস্ত্রসমর্পণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী কেশব মহন্ত, প্রমিলা রানি ব্রহ্ম, নবকুমার দোলে, রাজ্যের পুলিশ প্রধান ভাস্করজ্যোতি মহন্ত সহ রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন।