NE UpdatesHappeningsBreaking News
৩৮ বছর সেনাবাহিনীতে চাকরির পরও বিদেশি? ট্রাইবুনালের রায় খারিজ
ভুল রিপোর্ট দেওয়ায় ইআরও-কে দশ হাজার টাকা জরিমানা
ওয়েটুবরাক, ২৪ ফেব্রুয়ারি : একে গোর্খা জনগোষ্ঠীর, এর ওপর প্রাক্তন সেনা জওয়ান তাঁকেই অবৈধ অনুপ্রবেশকারী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ১১ বছর আগের এই ঘোষণায় গৌহাটি হাই কোর্ট অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। বিচারপতি অচিন্ত্য এম বি বরুয়া ও রবিন ফুকন গোটা প্রক্রিয়ায়, মাথা খাটানো হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন। এক নির্বাচনী আধিকারিককে সে জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনিই ৮৫ বছর বয়সি জগৎ বাহাদুর ছেত্রীকে ডাউটফুল ভোটার বা ডি ভোটার বলে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। ১৯৯৭ সালে দিসপুর বিধানসভা কেন্দ্রের ইলেকটোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসার তাঁকে এভাবে বিদেশি বলে দাগিয়ে দিয়েছিলেন। অসমের জিওলজি ও মাইনিং বিভাগের এক আধিকারিক অবশ্য ঘটনাস্থলে গিয়ে জানিয়েছিলেন, ১৯৩৭ সালে অসমের ডিব্রুগড়েই জন্মেছিলেন ছেত্রী। তা সত্ত্বেও তাঁকে ডি ভোটার হিসাবে গণ্য করা হয়।
সোমবার আদালত তার রায়ে প্রশ্ন তোলে, ছেত্রী যদি ১৯৩৭ সালে ডিব্রুগড়ে জন্মে থাকেন তবে তিনি বাংলাদেশ থেকে এসেছেন, এটা বলার কোনও যুক্তিই নেই। আসলে ইআরও মাথা না খাটিয়েই ডি রিপোর্ট করেছিলেন।
ইআরও-র রিপোর্টের ভিত্তিতে ছেত্রীর বিরুদ্ধে ২০০০ সালে মামলা করা হয়। শুনানিতে তাঁর আইনজীবী জানান, ১৯৬৩ সাল থেকে ২০০১ সাল থেকে ৩৮ বছর ছেত্রী ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। ওই সব তথ্য নিশ্চিত হয়ে হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণ, তাঁর বিরুদ্ধে আগে যে বিচার হয়েছে, তাও যথার্থ হয়নি৷
উচ্চ আদালত এবার তাই ইআরওর রিপোর্ট এবং ফরেনার্স ট্রাইবুনালের রায় খারিজ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য কারণ ছাড়াই ছেত্রীকে সমস্যার মধ্যে ফেলা ও যুক্তি দিয়ে বিষয়টি না দেখার জেরে দিসপুরের ওই ইআরওকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এই টাকা ছেত্রীর হাতে তুলে দিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে রায়ে।
আদালত জানিয়েছে, অসম ইলেকশন কমিশনার প্রয়োজনে সেই সময় কর্মরত ইআরওর কাছ থেকে জরিমানার টাকাটা তুলতে পারেন। অন্যদিকে ছেত্রী যাতে নাগরিক হিসাবে সমস্ত অধিকার পান সেটাও নিশ্চিত করার কথাও বলেছে আদালত।