Barak UpdatesHappeningsAnalyticsBreaking News

৪ লক্ষ নাম বাদ, তবু বাংলাদেশি অপবাদ ঘুচল বরাকের

অসমের বাঙালিপ্রধান বরাক উপত্যকার অধিকাংশ মানুষ বাংলাদেশি, এমনটাই প্রচলিত ধারণা ছিল। রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি)-র খসড়া একে ভুল বলে প্রমাণ করে দিল।  আজ চূড়ান্ত খসড়ায় দেখা গিয়েছে, বরাক উপত্যকার ৮৮ শতাংশ মানুষ ভারতীয়। করিমগঞ্জে ৮৫ শতাংশ, কাছাড়ে ৮৮ শতাংশ এবং হাইলাকান্দিতে তা একেবারে ৯০ শতাংশ ছাড়িয়ে । সমগ্র অসমেও গড়ে ৮৮ শতাংশের নাম উঠেছে খসড়ায়।

একে অহঙ্কার বলে দাবি করলেন রাজ্যের বন-পরিবেশ, আবগারি ও মীন মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য। তাঁর কথায়, বরাক উপত্যকার বাংলাদেশি বদনাম ঘুচিয়ে দিল এই এনআরসি। শিলচরের বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার দিলীপকুমার পালের বক্তব্য, বরাকের তিন জেলায় প্রায় ৪ লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে। তাঁদের অনেকের উপযুক্ত নথিপত্র রয়েছে। ফলে বাদ পড়াদের সংখ্যা আরও কমে যাবে।

এই বক্তব্যের অবশ্য যুক্তি রয়েছে। কারণ প্রাক্তন বিধায়ক আতাউর রহমান মাঝারভুইয়ার পরিবারে সকলের নাম উঠেছে। বাদ গিয়েছেন শুধু তিনি। কাছাড়ের ঋষিকেশ দে বাবার লিগ্যাসিকোড দিয়ে পরিবারের সকলের নাম তুললেন, কিন্তু নাগরিক পঞ্জির খসড়ায় বাবার নামটাই নেই। মধুরবন্দের আব্দুল মতিন লস্করের পরিবারে ১০জনের নামে আবেদন করা হয়েছিল, বড় নাতি-নাতনির নাম ওঠেনি। কনিষ্ঠতমের নাম রয়েছে। একই পাড়ার ইয়াসিন আলি ও তাঁর স্ত্রী সন্দেহের উর্ধ্বে। রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জি থেকে বাদ রইল তাঁর চার নাবালক সন্তান। হাইলাকান্দি জেলার বাঁশডহরের উজ্জ্বলকুমার দাসে এক লিগ্যাসি কোড ব্যবহার করে ১২ জনের আবেদন করেছিলেন, ১১জনেরই নাম এসেছে। খুঁজে পাওয়া যায়নি ছোটভাই অসিত দাসের নাম। দাবি-আপত্তি মিটিয়ে চূড়ান্ত তালিকায় যে এই ধরনের মানুষদের নাম থাকবে, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। অনুমান করা হচ্ছে, এই সংখ্যাটা আরও ৫ থেকে ৬ শতাংশ। সব মিলিয়ে, চূড়ান্ত তালিকায় ৯৫-৯৬ শতাংশেরই নাম থাকবে, এমনটাই আশা করছেন সবাই। ফলে এখন আর কে বলে, বরাক জুড়ে বাংলাদেশিদেরই বসবাস!

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker