Barak UpdatesHappeningsAnalyticsBreaking News
২৪ ঘণ্টার টানা বৃষ্টিতে জলবন্দি শহর শিলচর
ওয়ে টু বরাক, ২৮ মে ঃ শিলচর শহরের নিকাশী ব্যবস্থা যে কতটা দুর্বল, তা একদিনের বৃষ্টিতেই হাড়ে হাড়ে টের পেয়ে গেছেন শহরবাসী। ঘূর্ণিঝড় রেমালের বাংলাদেশে ল্যান্ডফলের পর বৃষ্টি যে হবে তার পূর্বাভাস আগে থেকেই ছিল। কিন্তু মাত্র ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে যে শহর এভাবে জলবন্দি হয়ে যাবে, ততটা আন্দাজ করা যায়নি। সোমবার বিকেল ৪টে থেকে যে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল, তা শেষমেশ গিয়ে থেমেছে মঙ্গলবার বিকেলে।
কিন্তু এই ২৪ ঘণ্টায় শহরের জনজীবন এক্কেবারে নাস্তানাবুদ করে দিয়েছে। মঙ্গলবার সকাল হতেই দেখা গিয়েছে, শহরের বেশ কিছু জায়গায় অনেক জল দাঁড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে সোনাই রোড ও নিউ শিলচরের অবস্থা ছিল ভয়াবহ। রাঙ্গিরখাড়ি পেট্রোল পাম্পের সামনে থেকেই শুরু জমা জলের বন্যা। এরপর চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ-র দিকে যতই এগিয়েছে, ততই রাস্তাজুড়ে শুধু জল আর জল। হাইলাকান্দি রোডে জমা জল রাস্তা ছাড়িয়ে ফুটপাতের উপর উঠে গিয়েছিল। ন্যাশনাল হাইওয়ে, লিংক রোড ও দাস কলোনির অবস্থা ছিল অবর্ণনীয়।
এইসব এলাকায় অনেকের বাড়িতেই জল ঢুকে পড়ে। কেউ কেউ জমা জলের হাত থেকে বাঁচতে পোটলা-পুটলি নিয়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার ছবিও সামনে এসেছে। জলের জন্য বাজার-হাট যেমন বন্ধ ছিল, তেমনি রাস্তার পাশে দোকানিরাও সমস্যায় পড়েন। আর পথচারীদের দুর্ভোগের কথা বলে লাভ নেই। জলের উচ্চতা এতটাই ছিল যে, অটো-রিকশা ও ছোট কারের ভেতর পর্যন্ত জল ঢুকে যায়। ভাঙা রাস্তা ও জলের ধাক্কায় ই-রিকশা উল্টে গিয়ে চালক ও যাত্রী আহত হয়েছেন বলেও জানা গেছে।
এই পরিস্থিতির পর জনমনে যে প্রশ্নটা সামনে এসেছে, তা হচ্ছে, শিলচরের নিকাশী ব্যবস্থা কি একেবারেই নেই? কয়েকদিন আগে যে শিলচরের বিধায়কের তৎপরতায় বিভিন্ন খাল পরিস্কার করা হলো, তার পরিণাম কি তাহলে এই? দু’বছর আগে শিলচরের ভয়াবহ বন্যার পরও যদি নিকাশী ব্যবস্থার এই হাল থাকে, তবে এই শহর বাঁচবে কী করে? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। অবশ্য এই বেহাল নিকাশী ব্যবস্থার জন্য একাংশ বাসিন্দার নালায় আবর্জনা ফেলার অভ্যেসকেও দায়ী করেছে সচেতন মহল। কারণ অলিগলিতে বা রাস্তার পাশের বড় নালায় যেভাবে আবর্জনা, প্লাসটিক ফেলার অভ্যেস একাংশের রয়েছে, তাতে নিকাশী ব্যবস্থাকে চাঙ্গা করলেও তা দীর্ঘদিন স্থায়ী হবার নয়।