Barak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে উল্টো রথে মানুষের ঢল
ওয়েটুবরাক, ২৮ জুন : প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায় অগণিত ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতেতে শিলচরে বুধবার উল্টো রথ পালন করা হয়। ইসকন, শ্যামসুন্দর আখড়া, মদনমোহন আখড়া, গোপাল আখড়া, মহাপ্রভু আখড়া সহ বিভিন্ন মঠ-মন্দির থেকে রথ বেরিয়ে শিলচর শহরের বিভিন্ন স্থান পরিক্রমা করে। স্থানে স্থানে মানুষ অপেক্ষায় থাকেন রথের রশিতে টান দেওয়ার জন্য।
তবে রাধামাধব আখড়ার ৪০ ফুট উঁচু এবং আকারে বিশাল রথকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।ফলে আখড়ার ঠিক সামনেই প্রভু জগন্নাথ দেবের রথকে টানতে হয় ভক্তদের। রাধামাধব আখড়ার সেবাইত অংশু কুমার রায় বলেন, ১৩২৫ বাংলায় অধুনা বাংলাদেশের হবিগঞ্জ জেলার কৃষ্ণপুরে বলরাম সূত্রধর ও শ্রীকৃষ্ণ সূত্রধর নামে দুই ভাইয়ের হাত ধরে এই রথ নির্মিত হয়েছিল। বরাক উপত্যকার সবচেয়ে প্রাচীন রাধামাধব আখড়ার রথ। এবার তা নির্মাণের নিরানব্বই বছরে পা দিল। আগামী বছর শতবর্ষ পূর্ণ করবে এই রথ তথা রথযাত্রা উৎসব ।
নজরকাড়া রথের আয়োজন করে পশ্চিম শিলচর রথযাত্রা মহামিলন সমিতি৷ সিঙ্গারি বাইপাস এলাকার নির্দিষ্ট স্থানে আশেপাশের বিভিন্ন এলাকার ১৬টি রথ গিয়ে সমবেত হয়৷ মূলত এর আয়োজক বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি জনগোষ্ঠী৷ তবে আয়োজকরা জানান, বাঙালি, মেইতেইরাও যথেষ্ট ভাবে সক্রিয় সহযোগিতা করেছেন৷
বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি এলাকা থেকে আগত ১৬টি রথই ছিল অত্যন্ত সুসজ্জিত৷ ভক্তরা যাঁরা রথ নিয়ে গিয়েছেন, তাঁরাও পরম্পরাগত পোশাক পরেছেন, বাদ্য যে বাজছিল, তাও ছিল পরম্পরাগত৷
১৬ রথের মহামিলন দেখতে প্রচুর মানুষ সেখানে সামিল হন৷ রাতেও চলে বিভিন্ন এলাকার সাংস্কৃতিক কর্মসূচি৷