NE UpdatesBarak UpdatesHappenings
১৮ দিনের মেয়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে ৪ বছরের ছেলেকে বিক্রির চেষ্টা!
১১ ডিসেম্বর: ১৮ দিনের মেয়ের চিকিৎসার জন্য ছেলেকে বিক্রি করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন এক রিকশাচালক৷ শিলচর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা রক্ষী পাপ্পু নুনিয়া বিষয়টি শুনতে পেয়ে চার বছরের ছেলেকে মায়ের কোলছাড়া হওয়া থেকে রক্ষা করেন৷ বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় মেয়ের উন্নত চিকিৎসারও ব্যবস্থা হয়৷ রিকশাচালক শ্যামল দাস ও প্রতিমা দাসের সদ্যোজাত সন্তানকে বিনা ভাড়ায় গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া৷ সেখানে যাতে শিশুটির বিনা খরচে চিকিৎসা হয়, সে জন্য গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠিও লিখে দেন তিনি৷ মেডিক্যাল কলেজের অনেকে তাদের নগদ অর্থ দিয়ে সাহায্য করেন৷ নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন বিভিন্ন সংস্থা-সংগঠনের কর্মকর্তারা৷
শিশুটির জন্মের পরই ধরা পড়ে গলায় টিউমার বা ‘সিস্টিক হাইগ্রোমা’৷ ১৮দিন ধরে সে শিলচর মেডিক্যাল কলেজের আইসিইউতে৷ ডাক্তাররা তাকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন৷ কিন্তু গুয়াহাটি যাওয়ার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া দশ হাজার টাকা শুনেই মেয়ের চিকিৎসা করানোর আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন শ্যামল৷ তখনই তাঁর মাথায় আসে এক পরিকল্পনা৷ সাফাইকর্মীদের গিয়ে জানান, কেউ যদি তাঁদের চার বছরের ছেলে বিশুকে নিয়ে যেতে চান, তিনি দিয়ে দিতে রাজি৷ শর্ত, ১৮ দিনের মেয়েটিকে গুয়াহাটি নেওয়ার গাড়িভাড়া ও চিকিৎসার খরচ দিতে হবে৷ পাশে দাঁড়িয়ে শ্যামলের প্রস্তাব শুনতে পান পাপ্পু নুনিয়া৷ তিনিই বাধা দিয়ে উপস্থিত সবাইকে কথাটা জানান৷ অনেকে আর্থিক সাহায্য করেন৷
অধ্যক্ষ বাবুল বেজবরুয়া আশাবাদী, গুয়াহাটিতে অস্ত্রোপচার করে শিশুটিকে সুস্থ করে তোলা যাবে৷ শ্যামল জানান, তিনি ভেবেছিলেন, যিনি বিশুকে নিয়ে যাবেন, তিনি তো তাকে লালনপালন করবেনই৷ আর তাঁর টাকায় যদি মেয়েটিকেও বাঁচিয়ে তোলা যায়! বিশুকে এখন অবশ্য মা-বাবার সঙ্গে গুয়াহাটিতে যেতে দেওয়া হয়নি৷ তাকে রাখা হয়েছে সমাজকল্যাণ বিভাগের শিশুগৃহে৷