NE UpdatesHappeningsBreaking News
হিন্দিতে ভাষণ দেওয়ায় মেঘালয় বিধানসভায় রাজ্যপালকে বাধাদান
ওয়েটুবরাক, ২১ মার্চ: মেঘালয় বিধানসভার বাজেট অধিবেশন উদ্বোধন করতে গিয়ে রাজ্যপাল ফাগু চৌহান হিন্দিতে ভাষণ দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ জানালো ভয়েস অব দ্য পিপলস্ পার্টি (ভিপিপি)। রাজ্যপাল ভাষণ শুরু করার অল্প পরেই ভিপিপির বিধায়ক আরডেন্ট মিলার বাসাইয়াওমোইত তাঁর প্রতিবাদ জানাতে থাকেন। মেঘালয়ের বিধানসভায় হিন্দিতে ভাষণ দেওয়া চলবে না বলে দাবি জানাতে থাকেন। কিন্তু রাজ্যপাল ইংরাজিতে স্বচ্ছন্দ নন। স্পিকার টমাস এ সাংমা বোঝানোর চেষ্টা করেন, সকলের বোঝার সুবিধার জন্য ভাষণের প্রতিলিপি ইংরাজিতে দেওয়া আছে। কিন্তু সে কথা মানতে নারাজ আরডেন্ট বলতে থাকেন, রাজ্যপালকে বুঝতে হবে মেঘালয় হিন্দিভাষী রাজ্য নয়৷ তিনি মেঘালয় বিধানসভা পরিচালনা সংক্রান্ত নীতি-নির্দেশনার ২৮ নম্বর নিয়মের উল্লেখ করে বলেন, তাতে রয়েছে, বিধানসভার সব কাজ ইংরাজিতে পরিচালিত হবে। সে ক্ষেত্রে রাজ্যপাল কোনওভাবেই হিন্দিতে ভাষণ দিতে পারেন না।
তিনি আরও বলেন, “এতদিনের দাবির পরেও কেন্দ্র খাসি ও গারো ভাষাকে অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করেনি, এখন ভারত সরকার হিন্দি ভাষাকে আমাদের উপরে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।”
মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা বোঝান, বিধানসভার সদস্যদের তরফে এমন আচরণ ও মন্তব্য অশোভন। সকলে যাতে বুঝতে পারেন তাই লিখিত ইংরাজি ভাষণ সকলকে বিতরণ করা হয়েছে। তারপরেও এমন বিতর্ক অহেতুক।
স্পিকার জানান, রাজ্যপালের ইংরাজি বলা ও পড়ায় সমস্যা রয়েছে। তাই হিন্দিতেই তিনি ভাষণ চালিয়ে যাবেন। প্রতিবাদে ওয়াকআউট করে ভিপিপি। তারা বলে, এমন একজন হিন্দিভাষী রাজ্যপালকে মেঘালয়ের দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো ভারত সরকারের হিন্দি চাপিয়ে দেওয়ারই নামান্তর। রাজ্যপালের ভাষা আমরা বুঝতে পারছি না।
এ দিকে বাজেট অধিবেশন শুরু হল বিরোধী দলনেতা ছাড়াই। বিরোধী দলগুলির মধ্যে জোট না হওয়ায় কোনো একজনের নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে পাঠানো হয়নি। এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের বিধায়ক দলের নেতা রনি ভি লিংডোর নাম বিরোধী দলনেতা হিসেবে পেশ করেছে প্রদেশ কংগ্রেস। কংগ্রেস ও তৃণমূল দুই দলই ৫টি করে আসন পেয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দল হিসেবে তাদের প্রতিনিধিরই বিরোধী দলনেতা হওয়ার অধিকার রয়েছে। আবার সর্বভারতীয় দল হিসেবে বিরোধী দলনেতার পদের জন্য তৃণমূলও আবেদন জানিয়েছে। তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পিংরোপ জানান, বিরোধী জোট পরের কথা, কিন্তু বিরোধী দলনেতা নির্বাচন স্পিকারের সিদ্ধান্তের উপরে নির্ভর করে।