India & World UpdatesHappeningsBreaking News
হাসিনার দলকে নিষিদ্ধ করার পথ থেকে সরে এলেন সমন্বয়করা
ওয়েটুবরাক, ২৯ অক্টোবর : ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধ করা হলেও, আওয়ামি লিগকে নিষিদ্ধ করার রাস্তা থেকে শেষ পর্যন্ত সরে এল বাংলাদেশের বর্তমান শাসকরা। সোমবারই আওয়ামি লিগ-সহ ১১টি রাজনৈতিক দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধের আবেদন করে মামলা করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম ও হাসিবুল ইসলাম। একদিনের মধ্যেই সেই মামলা আর না চালানোর ঘোষণা করলেন সারজিস ও হাসনাত। একই সঙ্গে, আওয়ামি লিগের আমলে হওয়া বাংলাদেশের তিনটি নির্বাচনের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে যে মামলা করা হয়েছিল, সেটিও আর চালানো হবে না বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার দুই বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট দুটি না চালানোর কথা জানান আবেদনকারীদের আইনজীবী আহসানুল করিম। পরে দুটি মামলাই খারিজ করে দেয় বাংলাদেশ হাইকোর্ট৷
দীর্ঘ আলাপ-আলোচনার পর হাইকোর্টে এই দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বাংলাদেশ আওয়ামি লিগ ছাড়াও, জাতীয় পার্টি, জাসদ, জাতীয় পার্টি (জেপি), তরিকত ফেডারেশন, গণতন্ত্রী পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশ, বিকল্পধারা, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ সাম্যবাদী দল (এম-এল) (দিলীপ বড়ুয়া), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) – এই ১১টি দল যাতে কোনও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড না চালাতে পারে, সেই বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ চাওয়া হয়। অপর আবেদনে বাংলাদেশের দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বেআইনি ঘোষণার বিষয়ে আদেশ চাওয়া হয়েছিল। এই তিন নির্বাচনের গেজেট বাতিল করার আবেদনও করা হয়েছিল।
এদিন, আদালতে সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহর আইনজীবী আহসানুল করিম জানান, দুটি মামলার কোনোটিই তাঁরা আর চালাতে চান না। পরে হাইকোর্টের কার্যতালিকা থেকে মামলা দুটিকে বাদ দেওয়া হয়। কিন্তু ঠিক কেন আবেদন দুটি প্রত্যাহার করা হল, তা জানাননি আইনজীবী করিম। তিনি জানান, আবেদনকারীরাই এর কারণ জানাতে পারবেন। এর আগে অবশ্য আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলিগকে নিষিদ্ধ করা হয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক নির্দেশেই তা করা হয়েছিল।