Barak UpdatesHappeningsBreaking News
হাইলাকান্দিতে নদীবাঁধ মেরামতি এবং নির্মাণ কাজ জোরকদমে চলছে, দাবি ডিডিসি সভায়
ওয়েটুবরাক, ৫ এপ্রিল: হাইলাকান্দি জেলার নদীবাঁধগুলির মেরামতি এবং নির্মাণের কাজ জোরকদমে এগিয়ে চলেছে। বুধবার জেলা উন্নয়ন কমিটির বৈঠকে এই দাবি করেছেন জল সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা৷ তাঁরা জানান, কাটাখাল নদীর নন্দীগ্রাম বাঁধের কাজ ৯৫ শতাংশ, বর্নিবাস বাঁধের কাজ ৮৭ শতাংশ, ধলেশ্বরী রিংবাধের কাজ ৯৬ শতাংশ, চিরুনালার স্লুইচ কালভার্ট ২৫ শতাংশ, নারাইনপুরের নদী ভাঙন প্রতিরোধী কাজের অগ্রগতি ৩০ শতাংশ, বরইতলী বাঁধের কাজ ১৫ শতাংশ, বকরি হাওরে ৪০ শতাংশ, মহাদেবটিলা রূপছড়ায় বিশ শতাংশ কাজ এ পর্যন্ত সম্পন্ন হয়েছে। জেলার সব বিভাগের শীর্ষ আধিকারিকদের উপস্থিতিতে সভার সভাপতি তথা ডিডিসি এলডার্ড ফারহীন বর্ষা মরশুমে সম্ভাব্য বন্যার মোকাবিলায় বিভাগীয় প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে সব বিভাগকে বলেন।
জেলা উন্নয়ন কমিটির এপ্রিল মাসের এই সভায় আরও জানানো হয়, হাইলাকান্দি জেলার সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিকরণের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ৬ এপ্রিল থেকে জেলার বিদ্যালয়গুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বন্টন শুরু হবে। জেলার ২৪০২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১ লক্ষ ১১ হাজার ২৮৪ জন পড়ুয়ার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পোষন ( মিড ডে মিল) খাদ্যসামগ্রী বন্টন করা হবে। জেলায় পানীয় জলের সংযোগ না থাকা ৬১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মার্চ মাসে ২৫টিতে সংযোগ দেওয়া সম্ভব হয়েছে এবং বাকি ২৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নিকটবর্তী পানীয় জল প্রকল্প থেকে সংযোগ দেওয়া হবে। এছাড়া আরও ৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নতুন প্রকল্প নির্মাণ করে পানীয় জলের সংযোগ দেওয়া হবে বলে সভায় জানানো হয়। মহিলা এবং শিশু উন্নয়ন বিভাগ (সমাজ কল্যাণ) থেকে জানানো হয়, জেলার ৬১৩টি শিশুকে বয়স, উচ্চতা, ওজন এবং স্বাস্থ্যের নিরিখে অপুষ্টির শিকার অর্থাৎ সেম চিলড্রেন হিসাবে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুইটি শিশুকে বিভাগীয় পুষ্টি আহার পুনর্বাসন কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগ থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী কিষানের ৭৩ হাজার ১৯৭টি অ্যাকাউন্টের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ করা হয়েছে। এফসিআইর মাধ্যমে জেলায় ৯৬০ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে এবং এর জন্য জেলার ৩২৫ জন প্রগতিশীল চাষী নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন। জেলা শিল্প বাণিজ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন স্কিমের জন্য ১০৬ জনকে ২৩৮ লক্ষ টাকার প্রকল্প ব্যাংক থেকে মঞ্জুরি দেওয়া হয়েছে। পিএইচই থেকে জানানো হয়েছে, জেলার ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৯৬টি পানীয় জল সংযোগের মধ্যে ১ লক্ষ ১ হাজার ৭৮৮টির কাজ গত অর্থবছরে সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়েছে।