Barak UpdatesHappeningsBreaking News
স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপনের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর সংগ্রহে নামবে কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশন
ওয়েটুবরাক, ১ আগস্ট : অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনে’র কাছাড় জেলা কোর্ডিনেশন কমিটি’র একটি সভা মঙ্গলবার শিলচরের ট্রাঙ্ক রোডস্থিত সিটিভিওএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। মন্মথ নাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কো-অর্ডিনেশন কমিটি’র কো-চেয়ারম্যান সাধন পুরকায়স্থ, কিশোর কুমার ভট্টাচার্য, নির্মল কুমার দাস, মানস দাস প্রমুখ। তাঁরা বলেন, বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের সাথে আলাপ আলোচনা না করেই বেআইনিভাবে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা চালুর পর যে সব গ্রাহকরা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন তাদের এবার সরাসরি এ পি ডি সি এল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ জানিয়ে পুরনো মিটার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানানোর সময় এসেছে। কমল চক্রবর্তী, ড. নবেন্দু বণিক, আব্দুল হাই লস্কর, গৌরব নাথ, মৃণাল কান্তি সোম প্রমুখ বলেন, বিদ্যুৎ সংশোধনী আইনে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোনো গ্ৰাহকের বিল বকেয়া থাকলে ১৫ দিন পূর্বে লিখিত নোটিশ প্রদান করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে হবে। অথচ স্মার্ট মিটার চালুর পর থেকে গ্ৰাহকদের কোনো লিখিত নোটিশ না দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। হানিফ আহমেদ বড়ভূঁইয়া, ইউনিশ আলী চৌধুরী, অঞ্জন কুমার চন্দ, দিলীপ নাথ, চাম্পালাল দাস, রাজেশ কুমার সিনহা প্রমুখ বলেন, বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থাকে আধুনিকীকরণের কথা বলে ব্যক্তিগতকরণ করার ছক কষা হচ্ছে। বিদ্যুৎ পরিষেবাকে আধুনিকীকরণের ক্ষেত্রে যেখানে প্রয়োজন ছিল পুরনো বৈদ্যুতিক তার, খুঁটি, ট্রান্সফরমার ইত্যাদির পরিবর্তন করা। কিন্তু তা না করে শুধুমাত্র বিদ্যুতের ডিজিটাল মিটার পরিবর্তন করে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন করে গ্ৰাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা আদায় করা হচ্ছে৷ সভায় আলোচনার শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, জনগণকে নতুন করে প্রিপেইড স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা গ্রহণ না করার আবেদন এবং এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ১৬ আগষ্ট থেকে জেলা জুড়ে গ্রাহকদের স্বাক্ষর সংগ্ৰহ অভিযান শুরু করা হবে। এছাড়াও এই ব্যবস্থা চালুর বিরুদ্ধে আইনী লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।