India & World UpdatesAnalyticsBreaking News

জন সুরক্ষা আইনে বন্দিদশা বাড়তে চলেছে ওমর-মেহবুবার !

৬ ফেব্রুয়ারি : কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর প্রায় ৬ মাস ধরে গৃহবন্দি হয়ে রয়েছেন কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লা। এ বার সেই বন্দিদশা আরও বাড়তে চলেছে। মোদি সরকার তাঁদের ওপর জন সুরক্ষা আইন প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই আইনের বলে তাঁদের আদালতে পেশ না করেই দু’বছর পর্যন্ত আটক করে রাখা যাবে। জেলাশাসক সেই নির্দেশ নামায় স্বাক্ষর করলেই তা কার্যকর হয়ে যাবে।

Rananuj

এর আগে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর সেপ্টেম্বর মাসে ওমর আবদুল্লার ওপর এই একই ধারা প্রয়োগ করেছিল মোদি সরকার। ফারুক আবুল্লাকেও একই ধারা প্রয়োগ করে আটকে রাখা হয়েছে। আদালতে এ নিয়ে মামলাও হয়েছে। কেন্দ্রের তরফে তখনই জানানো হয়, জন সুরক্ষা আইনের আওতায় তাঁদের গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। শুধু ওমর এবং মেহবুবা মুফতি নয়, একাধিক ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতার বিরুদ্ধে একই ধারা প্রয়োগ করতে চলেছে মোদি সরকার। এনসি-র সাধারণ সম্পাদক আলি মহম্মদ সাগর, প্রাক্তন এনসি বিধায়ক বশির ভির, পিডিপি নেতা সরতাজ মাদানির ওপরও একই ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল। বুধবার তাঁদের বিধায়ক হোস্টেল থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

কাঠ পাচারকারীদের কথা চিন্তা করে এই আইনটি তৈরি করেছিলেন ফারুক আবদুল্লার বাবা তথা রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শেখ আবদুল্লা। এই আইনের নাম জম্মু অ্যান্ড কাশ্মীর পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট (পিএসএ)। পিএসএ-কে সাধারণভাবে কালাআইন বলে অভিহিত করা হয়ে থাকে। কারণ যারা আইন ভাঙে বা ভাঙার চেষ্টা করে, তাতে ইন্ধন জোগায় বা আইন ভাঙতে পারে বলে মনে করা হয়, এই আইনের বলে সরকার তাদের আটক করে রাখতে পারে। এই আইনের বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নির্দিষ্ট সীমার বাইরে নিয়ে যাওয়ার অধিকারও সেই আধিকারিকের রয়েছে যিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন। পিএসএ আইনের ১৩ ধারা মোতাবেক কোনও একজন ডিভিশনাল কমিশনার বা জেলাশাসক এই নির্দেশ দিতে পারেন এবং জনস্বার্থেই তাঁদের কেউই এ কথা জানাতে বাধ্য নন যে, কেন তাঁরা এই নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ ধৃতরা জনস্বার্থবিরোধী কাজ করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!
Close
Close

Adblock Detected

Please consider supporting us by disabling your ad blocker