India & World UpdatesHappeningsBreaking News
করোনা : উত্তরপ্রদেশে ঢোকার মুখে রাসায়নিক দিয়ে স্নান শ্রমিকদেরCorona: On entering UP, labourers are given chemical bath!
৩০ মার্চ : করোনা আতঙ্কের মধ্যেই খিদে ও ক্লান্তি নিয়ে সোমবার সকালে শ্রমিকদের একটি দল পৌছল উত্তর প্রদেশের বেরেলিতে। এই দলে ছোট শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত রয়েছেন। তবে শহরে ঢোকার আগে তাঁদের রীতিমতো রাসায়নিক দিয়ে স্নান করানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এই দৃশ্য ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেকেই এই রাসায়নিকের শরীরে প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
তিন দিন ধরে দিল্লি ছেড়ে মূলত উত্তরপ্রদেশের শ্রমিক ও দিনমজুররা সপরিবারে ফিরে যাচ্ছেন তাঁদের বাড়িতে। ট্রেন-বাস বন্ধ থাকায় কেউ দু’শো কিলোমিটার, কেউ তিনশ’ কিলোমিটার পথ হেঁটে যাওয়ার জন্য বেরিয়ে পড়েন। কাতারে কাতারে শ্রমিকরা চলেছেন জাতীয় সড়ক ধরে। সেইসঙ্গে দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে আনন্দবিহার বাস টার্মিনালে গাড়ির জন্য ছিলেন অন্তত ২০ হাজার মানুষ। গোটা দেশ লকডাউন করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, মানুষের সঙ্গে মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। কিন্তু নিরুপায় শ্রমিকদের ছবি একেবারেই নিরাশ করেছে সকলকে। তবে রবিবার থেকে অনেককেই ফিরতে দেয়নি পুলিশ। যাঁরা বেরিয়েছিলেন, হাঁটতে শুরু করেছিলেন, তাঁদের অনেককে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আর কেউ যেন দিল্লি থেকে না যান কোথাও। সীমানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই অন্য কোনও রাজ্য থেকে বা দিল্লি থেকে যাঁরা বেরিয়ে পড়েছিলেন, তাঁদের একটা দল এসে পৌঁছেছে সোমবার। তাঁদের অনেকেই জানিয়েছেন, হঠাত করে সারা দেশে লকডাউন হয়ে যাওয়ায় বিভিন্ন রাজ্যের শ্রমিকরা কী করবেন, কোথায় যাবেন, কেউ বলে দেয়নি। ফলে অভাবে, আতঙ্কে সবাই বাড়ি ফেরার কথা ভেবেছেন। কারণ কাজ না থাকলে অন্য রাজ্যে জীবনধারণ করা কঠিন। আবার ফেরার পথও কার্যত বন্ধ। এই অবস্থাতে অনেককেই কাজের জায়গা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ।
এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই এতটা পথ এত মানুষের সঙ্গে সংস্পর্শে এসে কি তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়লেন না? তাঁদের পরিবারের মানুষগুলিকে ঝুঁকিতে ফেললেন না? তার ওপর এভাবে শরীরে কেমিক্যাল দেওয়ার কারণে অন্য সমস্যাও তো তৈরি হতে পারে। এই ঘটনার নিন্দা করেছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তাঁর কথায় এমনটা অমানবিক। এই শ্রমিকরা এমনিতেই বহু সমস্যায় জর্জরিত। তার পরে এভাবে যদি জীবাণুমুক্ত করা হয়, তা ক্ষতি বাড়াবে বই কমাবে না।