NE UpdatesBarak UpdatesHappeningsBreaking News
শিলচরে কমিশনারের কার্যালয়ে শুধু ১ সুপার, ৬ চতুর্থ শ্রেণির কর্মী!
ওয়েটুবরাক, ২১ সেপ্টেম্বর : ভোটের আগে চমক দেখাতে শিলচরে অস্থায়ী কার্যালয়ে মিনি সচিবালয় উদ্বোধন হয়েছিল। বরাক ভ্যালি ডিভিশনাল কমিশনারের ওপর দায়িত্ব বর্তায়, তিনিই মিনি সচিবালয়ের কাজকর্ম তদারকি করবেন। তাই ফেব্রুয়ারিতে ডিভিশনাল কমিশনারের কার্যালয়টি গুয়াহাটি থেকে শিলচরে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু গত সাতমাসে না মিনি সচিবালয়ের কাজকর্ম শুরু হয়েছে, না কমিশনারের কার্যালয়ে কাজ হচ্ছে।
মিনি সচিবালয়ের কাজকর্ম যে দালানবাড়ি নির্মাণ সম্পন্ন হলেই শুরু হবে, ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার শিলচরে মিনি সচিবালয়ের জায়গা পরিদর্শন করে হিমন্ত বলেন, ১১৬ কোটি টাকার টেন্ডার ডাকা হয়েছে। পুজোর পরেই নির্মাণকাজ শুরু হবে। শেষ হতে দুই থেকে তিন বছর সময় লাগবে। এর পরই বরাক উপত্যকার মানুষকে একাজে-ওকাজে গুয়াহাটিতে ছুটে যেতে হবে না।
আর ওই মিনি সচিবালয় তদারকির জন্য সচল কমিশনারের কার্যালয়টিকে গুয়াহাটি থেকে তুলে এনে এখানে অচল করে রাখা হয়েছে। বরাক ভ্যালি কমিশনারের কার্যালয়ে কমিশনার ছাড়াও একজন স্পেশাল অফিসার, সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসারের পদ রয়েছে৷ আছে ৩টি সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট, ৭টি জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং ১০টি চতুর্থশ্রেণির কর্মচারীর পদ। এখন আছেন শুধুই সুপারিন্টেন্ডেন্ট এবং ৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।
বরাক ভ্যালি কমিশনার নীরা গগৈ সোনোয়াল একই সঙ্গে জনসংযোগের সচিব। তিনি মাসে একবার দু-তিনদিনের জন্য শিলচরে আসেন। স্পেশাল অফিসারও অতিরিক্ত দায়িত্বে। মিনি সচিবালয়ে বসা যুগ্ম সচিব হরিচরণ ভক্ত একই সঙ্গে কমিশনারের স্পেশাল অফিসার৷ ফিনান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস অফিসার, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট এবং জুনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্টদের কেউ শিলচরে আসতে রাজি হননি৷ সরকার তাঁদের গুয়াহাটিতেই সাধারণ প্রশাসন বিভাগে অ্যাটাচড হিসাবে রেখে দিয়েছে। তাতে সাত মাস ধরে ধুঁকছে বরাক উপত্যকার তিন জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠান কমিশনারের কার্যালয়। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রীর দায়সারা জবাব, এ সব দেখাশোনার একটি কমিটি রয়েছে। তাঁরাই প্রয়োজনীয় সময়ে কর্মী পাঠাবেন।
এ ব্যাপারে বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের পক্ষ থেকে ক্ষোভ ব্যক্ত করা হয়েছে৷ দ্রুত পূর্ণোদমে কমিশনারেট চালুর জন্য তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন৷