Barak UpdatesAnalytics
টিকিটের লড়াইয়েই সুদিন দেখছে কংগ্রেসIn the fight for ticket, Congress seems to have broad smile
১৯ নভেম্বরঃ ২০১৭-র মে-তে সর্বানন্দ সোনোয়ালের নেতৃত্বে রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠনের পর কংগ্রেস অফিসগুলো দীর্ঘদিন তালাবন্ধ ছিল। মাসকয়েক পরে এক-দুইজন কর্মকর্তা যাওয়া-আসা শুরু করলেও সাধারণ কর্মীরা ও-মুখো হতেন না। বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসকে উপত্যকায় প্রায় ধুয়ে-মুছে সাফ করে দিয়েছিল বিজেপি। ১৫ আসনে গাঁধীর দল জিতেছিল তিনটি আসন। উত্তর করিমগঞ্জে কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, বদরপুরে জামালুদ্দিন আহমেদ ও লক্ষ্মীপুরে রাজদীপ গোয়ালা। বিজেপি ৯টি আসন ঝুলিতে পুরেছিল। বছর দেড়েক নিজের এলাকায় কথা বলারই সুযোগ পাননি সাংসদ সুস্মিতা দেব সহ দলীয় বিধায়করা।
এই অবস্থাকে পাল্টে দিয়েছে রাজ্যের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। একে তো নতুন আইন করে প্রার্থিত্বের জন্য শিক্ষা, জনসংখ্যা, স্বচ্ছতার শর্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর ওপর দল ক্ষমতায় নেই। সব আসনে প্রার্থী মিলবে কিনা, সংশয়ে ছিলেন নেতারা। কিন্তু প্রার্থিত্বের জন্য আবেদন চাইতেই ভিড় বাড়ে কংগ্রেস অফিসগুলিতে। একেকটি আসনের জন্য ৪ থেকে ৮জন দাবিদার। ফলে প্রার্থীতালিকা ঘোষণার পর বহু জায়গায় অফিসে ভাঙচুর, নেতাদের গালিগালাজ চলছে।
তবে কি কংগ্রেস কি ঘুরে দাঁড়িয়েছে বরাক উপত্যকায়? নইলে টিকিটের জন্য এত প্রত্যাশী কেন? পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় টিকিটের লড়াই দেখে এমন প্রশ্নই উঠে আসছে। সুস্মিতা দেবের দাবি, এগুলিই ইঙ্গিত দিচ্ছে, কংগ্রেসে সুদিন ফিরছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ব্যালটেই মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করবেন। বিজেপি নেতা, রাজ্যের বন-পরিবেশ ও আবগারি মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য তাঁর এই মন্তব্যকে মেনে নিতে পারেননি। তাঁর বক্তব্য, টিকিটের লড়াই তাঁদের অভ্যন্তরিণ ব্যাপার। কিন্তু মানুষ কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে দুর্নীতি ফিরিয়ে আনতে চাইবেন, আমি অন্তত বিশ্বাস করি না। আমার মনে করি, এখন আর কেউ ভাঙা রাস্তায় চলার আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করবেন না।
অন্যদিকে, এআইইউডিএফ কংগ্রেসের শক্তি নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও তাদের দাবি, নাগরিকত্ব বিলের ধোঁয়াশাতেই বিজেপি এ বার ধূলিস্যাত হবে। পরিমলবাবু একেও উড়িয়ে দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েতের ভোটে নাগরিকত্ব মোটেও ইস্যু নয়। মানুষ প্রার্থীবিচার এবং উন্নয়নের নিরিখেই ভোট দেবেন। সে জন্য ভোট দেওয়ার আগে পদ্মফুল খুঁজে বের করবেন।