Barak UpdatesHappeningsBreaking News
রোদ্দুর প্রকাশ করে ঊনিশ তর্পণ রামানুজ বিদ্যামন্দিরে
ওয়ে টু বরাক, ১৯ মে : শিলচরের রামানুজ বিদ্যামন্দিরের বাংলা বিভাগের দেওয়াল পত্রিকা ‘রোদ্দুর’ প্রকাশের মাধ্যমেই এ বার উনিশের একাদশ শহিদকে শ্রদ্ধা জানাল পড়ুয়ারা। কবিতা, প্রবন্ধ, স্কেচ আর আলপনায় সাজানো এবারের ‘রোদ্দুর’ সংখ্যাটি পুরোপুরি উনিশের থিম নির্ভর।
‘রোদ্দুর’এর বিশেষ সংখ্যাটি প্রকাশের দায়িত্ব ছিল এবার স্কুলের দশম শ্রেণির পড়ুয়াদের কাঁধে। সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের লেখা কবিতা, প্রবন্ধ আর এর সঙ্গে মাননসই স্কেচ, আলপনা-ই এতে স্থান পেয়েছে। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি লেখাতেই একাদশ শহিদ সহ মহান উনিশ মে দিনটিকে উৎসর্গ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্কুল চত্বরে দেওয়াল পত্রিকা ‘রোদ্দুর’-এর আনুষ্ঠানিক আবরণ উন্মোচন করেন উপত্যকার বিশিষ্ট নাট্যকার শান্তনু পাল ও রামানুজ বিদ্যামন্দিরের অধ্যক্ষ দীপ্তিমান বিশ্বাস।
নাট্যকার শান্তনু পাল ছাত্রছাত্রীদের লেখালেখির ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, স্কুল-কলেজ পরিসরে এরকম দেওয়াল পত্রিকার মাধ্যমেই ছাত্রছাত্রীদের সৃজনশীলতার স্ফূরণ ঘটে থাকে। ফলেই ‘রোদ্দুর’ এর মতো দেওয়াল পত্রিকার আরও শ্রীবৃদ্ধি হোক। উনিশের থিম নির্ভর এবারকার ‘রোদ্দুর’-এর প্রতিটি লেখাতেই রয়েছে যথেষ্ট মৌলিকতার ছাপ, যা অদূর ভবিষ্যতে পড়ুয়াদের সৃজনশীলতাকে আরও বিকশিত করবে।
স্কুল অধ্যক্ষ দীপ্তিমান বিশ্বাস উনিশের একাদশ শহিদকে শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মাতৃভাষা মাতৃদুগ্ধ সম। ইংরেজি আন্তর্জাতিক ভাষা। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পঠনপাঠনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে, ছাত্রছাত্রীদের ইংরেজি ভাষা-সাহিত্য ভাল করে রপ্ত করার সুলুক সন্ধান দেওয়া। কিন্তু এরজন্য মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করা মোটেও কাম্য নয়। মাতৃভাষাকে যথাযোগ্য সম্মান দিলেই অন্যান্য ভাষা রপ্ত করা যায় অনায়াসে। রামানুজ বিদ্যামন্দিরও এই রীতিতে বিশ্বাসী। মহান উনিশের প্রাক্কালে উনিশের থিম নির্ভর ‘রোদ্দুর’ প্রকাশ অবশ্যই শ্লাঘার ব্যাপার। এর মাধ্যমেই আসলে যথার্থ শ্রদ্ধা জানানো হল ভাষা শহিদদের প্রতি।
বাংলার শিক্ষক রত্নদীপ দেব জানান, ২০১৮ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল দেওয়াল পত্রিকা ‘রোদ্দুর’-এর। তবে মাঝখানে দু’বছর কোভিড এর জন্য প্রকাশিত হয়নি ‘রোদ্দুর’। এবার ফের নতুন উদ্যমে নব কলেবরে প্রকাশ পেলো। এদিকে খুব তাড়াতাড়ি ‘রোদ্দুর’ মুদ্রণ মাধ্যমেও প্রকাশ পাবে বলে তিনি জানান। এদিন পত্রিকা প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত হয় সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। এতে উনিশের গান গেয়ে শোনান ছাত্রছাত্রীরা।