NE UpdatesHappeningsBreaking News
রেশন কার্ড না থাকলেও দরিদ্রদের খাদ্যসামগ্রী দিতে বলল হাই কোর্ট
ওয়েটুবরাক, ৭ ডিসেম্বর : গুয়াহাটি চানমারির সৈয়দা মেহজেবিন রহমানের পিআইএলে রেশন কার্ড ও খাদ্য সুরক্ষা আইন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ রায় শোনাল গৌহাটি হাই কোর্ট৷ মুখ্য বিচারপতি আর এম ছায়া তাঁর রায়ে বলেন, যারা রেশন কার্ডের জন্য নিয়ম মেনে আবেদন করেছেন এবং আবেদনের ওপর পরীক্ষানিরীক্ষা শেষ হয়েছে, তাদের যত দ্রুত সম্ভব, রেশন কার্ড ইস্যু করা হোক৷ পারলে আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হোক৷ পরীক্ষানিরীক্ষার কাজটাও ক্ষিপ্রতার সঙ্গে সেরে নেওয়া চাই৷ ২০১৩ সালের খাদ্য সুরক্ষা আইনের উল্লেখ করে তিনি গরিব পরিবারগুলিকে রেশন কার্ড না থাকলেও খাদ্য সরবরাহের নির্দেশ দেন৷ কারা এই আইনের আওতায় খাদ্য সুরক্ষা পেতে পারেন, বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে জানানোর জন্যও সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি বলেন, এই বিজ্ঞাপন প্রতিটি রেশন দোকানের বাইরে, গণবন্টন কার্যালয়ে এবং দেখা যায় এমন জায়গায় লাগিয়ে রাখতে হবে৷
সৈয়দা মেহজেবিন রহমান পিআইএল করে হাই কোর্টকে জানান, কামরূপ মেট্রো জেলায় ভূতনাথ, শান্তিপুর, ভরলুমুখে বসবাসকারী গরিব পরিবারগুলির রেশন কার্ড নেই৷ কয়েকটি এনজিও সমীক্ষা চালিয়ে জানতে পারে, খ্রিস্টানবস্তির মসজিদপট্টির বহু পরিবারের রেশন কার্ড নেই৷ একই অবস্থা খ্রিস্টানবস্তি হরিজন বস্তির৷ তারা রেশন দোকানের মাধ্যমে ২০১৭ সালে আবেদন জানালেও রেশন কার্ড মিলছে না৷ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তারা প্রচণ্ড দুর্ভোগ ভোগেন৷ দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী দরিদ্র অন্ন যোজনা চালু করা হলেও রেশন কার্ড ছাড়া ওই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না৷ উজানবাজার এলাকার ১১০ পরিবারের কথা জানিয়ে মেহজেবিনের আইনজীবী ডি ঘোষ বলেন, তাদের মধ্যে ৭০টি আবেদনপত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা সম্পন্ন হয়ে ইতিবাচক রিপোর্ট মিললেও রেশন কার্ড ইস্যু হচ্ছে না৷ এ ছাড়া, বহু পরিবার রয়েছে, প্রয়োজনীয় নথির অভাবে আবেদন জানাতে পারছে না৷ হাই কোর্টের মুখ্য বিচারপতি তাদেরও খাদ্যসামগ্রী সরবরাহের বন্দোবস্ত করতে খাদ্য ও গণবন্টন দফতরকে নির্দেশ দিয়েছেন৷