Barak UpdatesHappeningsCultureBreaking News
পৌষপার্বণ নিয়ে সম্মিলিত লোকমঞ্চের মনোজ্ঞ উপস্থাপনা
ওয়েটুবরাক, ২০ ডিসেম্বরঃ গত ১৯ ডিসেম্বর শিলচর সঙ্গীত বিদ্যালয় প্রেক্ষাগৃহে জেলার ঐতিহ্যবাহী সংস্থা সম্মিলিত লোকমঞ্চ পরিবেশন করে তাদের ৩১-তম লোককণ্ঠ অনুষ্ঠান। এ বারের লোককণ্ঠের বিষয় ছিল ‘পৌষপার্বণ’। পৌষ মাসের আমেজ নিয়ে ভরা প্রেক্ষাগৃহে সংস্থার সদস্যদের দ্বারা পরিবেশিত সংস্থাসঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর দাসের স্বাগত ভাষণের পর এ বারের লোককণ্ঠের বিষয়সূচি নিয়ে আলোকপাত করেন সভাপতি ড. অনুপ রায়। তিনি তাঁর বক্তৃতায় উপত্যকার এতিহ্যবাহী লোকসংস্কৃতিকে বহমান রাখতে সংস্থার নানা প্রকল্প সহ কিছু ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানের পরবর্তী পর্যায়ে উপস্থাপন করা হয় এক নবীন লোকশিল্পীকে। সোনাই অঞ্চলের রবিজুল ইসলাম নিজে বেহালা বাজিয়ে তিনখানা লোকসঙ্গীত গেয়ে দর্শক-শ্রোতাদের মুগ্ধ করেন। তা ছাডা, একক সঙ্গীত পরিবেশন করেন সংস্থার শিল্পী মনোমিতা গোস্বামী ও সীমা পুরকায়স্থ। সমবেত সঙ্গীত পরিবেশন করেন আমন্ত্রিত দল ‘বরাক পাখি’র সদস্যবৃন্দ।
‘পৌষপার্বণ ও লোকসংস্কৃতি’ এই শীর্ষক বক্তব্য রাখেন লোকগবেষক ড. অমলেন্দু ভট্টাচার্য। তিনি ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে লোকসংস্কৃতির বদল ও লোকগানের মাধ্যমে এর প্রকাশ নিয়ে মনোজ্ঞ আলোচনা করেন। এ ছাড়াও এ বিষয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সংস্থার সদস্য, লোকগবেষক মহবুবুল বারী।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে দুধপাতিলের সর্বশ্রী নাথ ও সহশিল্পীরা ধামাইল নাচের মাধ্যমে দর্শকদের মাতিয়ে রাখেন। সবশেষে হয় সংস্থার সদস্যা সপ্তমিতা নাথের লেখা গীতিআলেখ্য ‘পৌষপার্বণ ও গান’। এতে অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা ছিলেন রাজশ্রী নাথ, সীমা পুরকায়স্থ, সুজাত নাথ, মনোমিতা গোস্বামী, জুয়েল নাথ ও অমিতা নাথ। অনুষ্ঠানটি দর্শক-শ্রোতাদের প্রশংসা কুড়োয়।
এ বারের লোককণ্ঠ উপভোগের জন্য অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রসরাজ দাস, কৃষ্ণেন্দু নাথ, চঞ্চল ভট্টাচার্য, দীপক নাথ, সুমনা দাস, কানাইলাল দাস, সুদর্শন ধর, প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ পাল প্রমুখ l সমাপ্তিপর্বে সমাজকল্যাণ সম্পাদক কানাইলাল দাস ও সুমনা দাসের ব্যবস্থাপনায় উপস্থিত সকল অতিথিদের পিঠা-পুলি দিয়ে আপ্যায়ণ প্রকৃতই পৌষপার্বণের আমেজ এনে দেয়।