NE UpdatesHappeningsBreaking News
যোগ শিক্ষা : লামডিং প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের সঙ্গে “মউ’ শিলচর নিরাময়ের
ওয়ে টু বরাক, ৪ জুলাই : যোগ শিক্ষাকে সমাজের প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে শিলচরের যোগ শিক্ষা সংস্থান “নিরাময়”। বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান, সংস্থার সঙ্গে মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ইস্যুতে স্থায়ী কর্মসূচি করছে নিরাময়। এবারে নিজেদের উদ্দেশ্য-লক্ষ্যের বার্তা নিয়ে বরাকের বাইরেও পৌঁছাচ্ছে এই যোগ শিক্ষা সংস্থান।
সম্প্রতি ভারত সেবাশ্রম সংঘের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা – প্রতিষ্ঠান লামডিং প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দির এর সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে নিরাময়। ২ জুলাই লামডিং প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দির ক্যাম্পাসে হয় এই “মউ” স্বাক্ষর পর্ব। নিরাময়-এর পক্ষে চেয়ারম্যান ডাঃ অজিত কুমার ভট্টাচার্য ও বিদ্যামন্দিরের তরফে অধ্যক্ষ শেখর চক্রবর্তী স্বাক্ষর করেন চুক্তি-পত্রে। নিরাময় যোগ শিক্ষা সংস্থানের ডিরেক্টর শতাক্ষী ভট্টাচার্য, লামডিং কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের অধ্যাপক ড. উত্তম দাস, প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরের উপাধ্যক্ষ আশিস ঘোষ সহ অন্যরা ছিলেন এই অনুষ্ঠানে।
এ দিন প্রতিষ্ঠানের তরফে নিরাময়-এর পদাধিকারীদের সংবর্ধনা জানানো হয়। অন্যদিকে “যোগ চেতনা অভিযান” এর অঙ্গ হিসেবে বিদ্যামন্দির অধ্যক্ষের হাতে স্মারক তুলে দেন নিরাময়-এর কর্মকর্তারা।
শেখর চক্রবর্তীর কথায়, ভারত সেবাশ্রম সংঘের ছত্রছায়ায় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছে প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দির। সমৃদ্ধ করে তুলছে নিজেদের। ব্যতিক্রম নয় লামডিং প্রণবানন্দ বিদ্যামন্দিরও। ভারতীয় পরম্পরা সহ যুগের সঙ্গে তালমিলিয়ে হাইটেক শিক্ষা সম্পর্কেও পড়ুয়াদের সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে এই স্কুলে। উভয় দিকেই যাতে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল হয়, এতে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে, প্রতিটি ক্ষেত্রেই এগোতে গেলে একজন পড়ুয়ার শারীরিক, মানসিক সুস্থতা জরুরি। তাঁর চেতনা বিকশিত হওয়া চাই। এক্ষেত্রে কিন্তু যোগ শিক্ষার বিকল্প নেই। এসব দিক খেয়াল করেই বড় ও অর্থপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে স্কুল ম্যানেজমেন্ট।
তিনি বলেন, শিলচর নিরাময়-এর সঙ্গে যোগ শিক্ষা সংক্রান্ত “মউ” স্বাক্ষর করেছে। এর অন্তর্গত স্বীকৃতপ্রাপ্ত যোগ প্রশিক্ষকদের মাধ্যমে পরম্পরাগত যোগ শিক্ষা পাবে পড়ুয়ারা। বিভিন্ন রকমের স্কুল ও পেশাদার পর্যায়ের সার্টিফিকেশনের সুযোগ পাবে তারা। তাছাড়া ভারত সরকার আয়ুষমন্ত্রকের যোগ বোর্ড, আই ওয়াইএ স্বীকৃত এই নিরাময় সচেতনতা, কর্মশালা এসবও পরিচালনা করবে স্কুলে। শুধু পড়ুয়াই নয়, শিক্ষক ও অভিভাবকরাও লাভবান হবেন এতে। ইন্ধন পাবেন সর্বাঙ্গীন সুস্থতার। তাঁদের জন্য পৃথক পৃথক সেশন রয়েছে এই যোগ শিক্ষা প্রোমোশনের কর্মসূচিতে। সবমিলিয়ে এক ইতিবাচক পরিবেশ ও সর্বাঙ্গীন বিকাশের জায়গা হিসেবে স্কুলের ভিত আরও সুদৃঢ় হবে এই চুক্তিতে, এমনটাই আশা করছেন শেখর চক্রবর্তী। বিদ্যামন্দির কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা পূরণে নিরাময় অঙ্গীকারবদ্ধ বলে মন্তব্য করেন চেয়ারম্যান ডাঃ অজিত কুমার ভট্টাচার্য।