Barak UpdatesHappeningsBreaking News
কাগজ কলঃ প্রয়াত সহকর্মীদের আত্মার শান্তিকামনায় মন্দির, মোকামে মোমবাতি
১১ ফেব্রুয়ারিঃ কাছাড় কাগজ কল এবং নগাঁও কাগজ কলে প্রায় পাঁচ বছর ধরে উৎপাদন বন্ধ। চল্লিশমাসের বেশি সময় অতিবাহিত, অফিসার-কর্মচারীদের বেতন নেই। তাতে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে তাঁরা অনাহার-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। এরই মধ্যে মোট ৮১ জন মারা গিয়েছেন৷ কেউ মানসিক অবসাদে ভুগে, কেউ বিনা চিকিতসায় প্রাণ হারিয়েছেন। তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরাক উপত্যকার তিন জেলাসদরে শোকমিছিল বের করা হয়। এ ছাড়া, পাঁচগ্রামেও অনুরূপ শোকমিছিল হয়। এর আহ্বায়ক জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি অফ পেপার মিল ইউনিয়নস।
শিলচরের মিছিলটি বেরোয় গান্ধীবাগ থেকে। শিলং পট্টি, চার্চ রোড, অম্বিকাপট্টি, হয়ে তাঁরা শিলচর শ্মশানঘাটে আসেন। অমাবস্যার সন্ধ্যায় শ্মশান চত্বরের কালী মন্দিরে মোমবাতি জ্বালান। সেখান থেকে সুভাষনগর দিয়ে এগিয়ে যান পঞ্চায়েত রোডের ফজলে শাহ মোকামে। সেখানেও একইভাবে মোমবাতি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও সহকর্মীদের আত্মার চিরশান্তি কামনা করা হয়।
কিছুদিন আগেই শোকমিছিলের আয়োজন করেছিল জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটি। পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতিও আদায় করেছিলেন তাঁরা। তার পরেও শেষমুহূর্তে মিছিল বের করতে দেয়নি পুলিশ। ক্ষুদিরাম মূর্তির পাদদেশেই তাঁদের থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ওই অসমাপ্ত মিছিলেরই ভিন্ন রূপ এ দিনের শোক মিছিল। নাম দেওয়া হয়েছে ধর্মীয় শোক মিছিল। একেও আটকে দিতে কম তৎপরতা দেখাননি পুলিশ অফিসাররা। বিশাল পরিমাণ আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করা হয় গান্ধীবাগের সামনে৷ মোমবাতি জ্বালিয়ে চলতে দেওয়া হবে না বলে ফরমান জারি হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা জানিয়ে দেন, তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে যাবেন না, ধর্মস্থানে গিয়ে জ্বালাবেন। শেষপর্যন্ত তা-ই করেন। জয়েন্ট অ্যাকশন কমিটির আহ্বানে মিছিলে পা মেলান প্রাক্তন পুরপ্রধান তমাল বণিক, বিডিএফের মুখ্য আহ্বায়ক প্রদীপ দত্তরায়, অবিসা-র মুখ্য আহ্বায়ক বাহারুল ইসলাম বড়ভুইয়া, সমাজকর্মী কমল চক্রবর্তী প্রমুখ। পেপার মিল ইউনিয়নগুলির নেতৃবৃন্দ জোট বেঁধে সামিল ছিলেন এ দিনের মিছিলে।