Barak UpdatesHappeningsTourismBreaking News
কন্যাকুমারীর বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল পরিদর্শনে জিসি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা
ওয়ে টু বরাক, ২৮ এপ্রিল ঃ গুরুচরণ কলেজের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের একদল ছাত্রছাত্রী শুক্রবার বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল কন্যাকুমারী ভ্রমণ করে। এই ভ্রমণের উদ্দেশ্য হল রক মেমোরিয়ালের ইতিহাস ও তাৎপর্য ছাত্রছাত্রীদের সামনে তুলে ধরা। বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল একটি পবিত্র স্মারকস্থল। এটি কন্যাকুমারীর বাবাতুরাই এর কাছে মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে সমুদ্রের ওপর অবস্থান করছে।
উল্লেখ্য, বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল যে শিলাখণ্ডে অবস্থিত, তা ভারতের স্থলভাগের দক্ষিণতম বিন্দু। ১৮৯২ সালের ডিসেম্বর মাসে স্বামী বিবেকানন্দ এখানে এসে এই শিলাখণ্ডের উপর দীর্ঘক্ষণ ধ্যান করেছিলেন। এখানে বসে তিনি ভারতের অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে দীর্ঘক্ষণ চিন্তা করেন। তারই স্মৃতিতে ১৯৭০ সালে বিবেকানন্দ রক মেমোরিয়াল কমিটি এখানে এই স্মারকস্থুল নির্মাণ করে। প্রাচীন তামিল প্রবাদ অনুসারে এই শিলাতে দেবী কুমারী বসে তপস্যা করেছিলেন। এই শিলার আগেকার নাম ছিল শ্রীপদ পারাই। বর্তমানে শিলার উপর একটি ধ্যানমণ্ডপ নির্মিত হয়েছে। ভারতের নানা অঞ্চলের স্থাপত্যরীতির মিশ্রণ এতে দেখা যায়। মন্ডপের ভেতর স্বামী বিবেকানন্দের একটি মূর্তি রয়েছে। এখান থেকে আরব সাগর, ভারত মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের মিলনস্থল দেখা যায়।
গুরুচরণ কলেজের ষষ্ঠ সেমিস্টারের ২৭ জন ছাত্রছাত্রী শুক্রবার সকালে এই মেমোরিয়ালে যায়। তাদের এই ভ্রমণে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তরফ থেকে। প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ড. নীলেন্দু ধর তাদের সেখানে নিয়ে যান। ছাত্রছাত্রীরা এই রক মেমোরিয়ালের ইতিহাস ও সংস্কৃতি অনুধাবন করে। ছাত্রছাত্রীরা ধ্যানগৃহ, মেডিটেশন হল, বুক সেন্টার ও রক মেমোরিয়ালের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। এরপর তারা পাশেই স্থাপিত অন্য একটি শিলায় ১৩৩ ফুট উঁচু বিখ্যাত তামিল কবি টিরুভাল্লভারের মূর্তি দেখে ও তার স্থাপত্য অনুধাবন করে। ছাত্রছাত্রী যারা এই যাত্রায় ছিল তারা হলো কৌস্তভ, রৌমিত, সূর্যস্নেহা, ইশা, গৌরব, শুভদীপ, সৃষ্টি, সৌভিক, শুভম, রচনা, স্নেহা, ব্রততী, শ্রাবণী, পর্না, নয়নিকা, স্বপ্রকাশ, শ্রুতি, পল্লবী, রোহন, সুতপা, অর্ণব, পাপিয়া, দীপরাজ, সূর্যদীপ, স্বর্ণালী, আদ্রিতা ও অনিশা।