NE UpdatesHappeningsBreaking News
মিজোরামে লালডুহোমার মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সময়ের অপেক্ষা মাত্র
ওয়েটুবরাক, ৪ ডিসেম্বর : পালাবদল মিজোরামে। মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করল জেডপিএম। দলের সুপ্রিমো প্রাক্তন সাংসদ, প্রাক্তন আইপিএস লালডুহোমা নিজে জিতেছেন সেরচিপ আসনে। তাঁর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথগ্রহণ কার্যত সময়ের অপেক্ষা মাত্র।
২০১৮ সালে মিজোরামে প্রথমবার নির্বাচনে লড়ে ৬টি আসনে জিতেছিল জোরাম পিপলস মুভমেন্ট জেডপিএম। আর এবার ৪০ আসনের বিধানসভায় ২৭ আসন গিয়েছে তাঁদের ঝুলিতে। ক্ষমতাসীন এমএনএফ নেমে এসেছে ১০ আসনে। কংগ্রেস ১ টি ও বিজেপি ২ টি আসন জিতেছে মিজোরামে।
রাজনৈতিকভাবে অভিজ্ঞ ৭৪ বছরের লালডুহোমা জীবন শুরু করেছিলেন আইপিএস অফিসার হিসেবে। গোয়ায় ছিল তাঁর শুরুর দিকে পোস্টিং। সেখানে দাপটের সঙ্গে কাজ করার সুবাদেই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গাঁধীর নয়াদিল্লির অফিসে নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলানোর গুরুভার পেয়েছিলেন। দক্ষতার সঙ্গে নিজের কাজ করার পাশাপাশি ইন্দিরা গাঁধীর আস্থাভাজন হয়ে ওঠায় লালডুহোমা ১৯৮০ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন।
১৯৮৪ সালে ইতিহাস গড়ে মিজোরাম থেকে কংগ্রেস সাংসদ হিসেবে লোকসভায় গিয়েছিলেন লালডুহোমা। যদিও সাংসদ হওয়ার পরের বছরই কংগ্রেসের সঙ্গে তিক্ততা তৈরি হওয়ায় দল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। এর দু’বছর বাদে ১৯৮৭ সালে জোরাম ন্যাশনালিস্ট পার্টি তৈরি করেছিলেন লালডুহোমা। ২০১৭ সালে মিজোরামের মোট ছ’টি স্থানীয় দল মিলে গড়ে ওঠে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট। এর নেতৃত্বের ভার নেন লালডুহোমা। ২০১৯ সালে যা জাতীয় নির্বাচন কমিশনে নথিভুক্ত হয়।
সাংসদ হিসেবে সময়কালেও একাধিক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন লালডুহোমা। দলবিরোধী আইনে ভারতের প্রথম সাংসদ হিসেবে নিজের পদ খুইয়েছিলেন তিনি। শুধু সাংসদ থেকেই নয়, মিজোরাম বিধানসভা থেকেও বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে তাঁকে মিজোরাম বিধানসভা থেকে বের করে দিলেও সেরচিপ থেকে উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন। এবার ফের একবার বিধানসভা ভোটে জিতলেন। সঙ্গে তাঁর দলের জয়জয়কার। ফলে মিজোরামের নতুন মুখ্যমন্ত্রী যে লালডুহোমাই, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়।