Barak UpdatesHappeningsSportsBreaking News
মিংলুর জোড়া গোলে মাতৃভূমির ফাইনালে জামালপুর
ওয়েটুবরাক, ৬ সেপ্টেম্বরঃ গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত প্রদর্শনের ধারা অব্যাহত রেখে প্রত্যাশিত ভাবেই ২০২৩ সালের মাতৃভূমি কাপ প্রাইজমানি নক আউট ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল জামালপুর এফসি । বুধবার দ্বিতীয় দল হিসাবে প্রতিপক্ষ কালাখাল এফসি দলকে ২-১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে চলতি টুর্নামেন্টের ফাইনালে প্রবেশ করে এরা।
ধলাইর বেসরকারি সামাজিক সংগঠন মাতৃভূমির উদ্যোগে স্থানীয় বাম নিত্যানন্দ উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে এদিন প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় জামালপুর এফসি। ১০ মিনিটের মাথায় জামালপুর এফসির হয়ে দুর্দান্ত গোল করেন মিংলু ।
খেতাবি লড়াইয়ে আত্মবিশ্বাসী ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন জামালপুর দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ব্যবধান বাড়ানোর প্রয়াসে ব্যস্ত ছিল । অপরদিকে সমতায় ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে কালাখাল। টানটান উত্তেজনাপূর্ণ দ্বিতীয়ার্ধের খেলার ২ মিনিটের মাথায় কালাখাল দলের হেমবয় লিংডো দুর্দান্ত গোল করে নিজের দলকে সমতায় ফেরান । খেলার সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচের উত্তেজনা বাড়ে, ফাইনালের ছাড়পত্র আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠে উভয় দল। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধের খেলার ২৬ মিনিটে দলের জন্য দ্বিতীয় গোল করেন মিংলু, এগিয়ে যায় জামালপুর।
রেফারি অন্তিম বাঁশি বাজাতেই ময়দানে তুমুল হর্ষোল্লাস জামালপুর সমর্থক সহ খেলোয়াড়দের৷ বহু প্রতীক্ষিত খেতাবি ট্রফি দখল করতে এখন শুধু ফাইনালের অপেক্ষা৷ এদিনের খেলা পরিচালনা করেন শামীম আহমেদ লস্কর। সহযোগী ছিলেন কমরুজ্জামান লস্কর ও শঙ্কর ভট্টাচার্য। চতুর্থ রেফারি ছিলেন প্রবীন বর্মণ। প্রত্যাশিত ভাবেই এদিনের ম্যাচে সেরা খেলোয়াড় হিসাবে নির্বাচিত হন জামালপুর দলের খেলোয়াড় মিংলু। তার হাতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার হিসাবে নির্মলা দাস মেমোরিয়াল ট্রফি তুলে দেন এদিনের অতিথি ৭০ দশকের খ্যাতনামা ফুটবলার কৃষ্ণ বাহাদুর সিং ছেত্রী ও বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক অরিন্দম হোড় । উল্লেখ্য ম্যান অব দ্য ম্যাচ ট্রফি স্পন্সর করেন চপল কুমার দাস।
উল্লেখ্য প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে শুরু করে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলায় যারা স্পন্সর হিসাবে জড়িত, তাদের এদিন সংবর্ধিত করা হয়। সংবর্ধিত ব্যক্তিরা হলেন অরিন্দম হোড়, দেবব্রত সিংহ, বিকাশ সিং, দেবব্রত পাল, সুরজিৎ দত্ত, শঙ্কর ভট্টাচার্য, চপল কুমার দাস, সুনিতা সিংহ, সত্যজিৎ বর্মণ, আনোয়ার হোসেন লস্কর, সুপ্রিয় পাল ও ভূষণ পাল ।
বুধবার মাঠে খেলা উপভোগ করতে বিশিষ্টজনদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওএনজিসি-র চিফ জেনারেল ম্যানেজার ড্রিলিং সতীশ কুমার কোহলি ও জেনারেল ম্যানেজার (সিভিল) ওএনজিসি সুরেশ লাকুম। মাতৃভূমি-র পক্ষ থেকে তাদের উত্তরীয় দিয়ে সংবর্ধিত করা হয়। এদিনের পুরো সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন কমলেশ দাশ।
আয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে সীতাংশু দাস স্পন্সরদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সেই সঙ্গে দর্শক ও সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের কথাও কৃতজ্ঞতার সঙ্গে উল্লেখ করেন৷ ফাইনালের দিন স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় ধামাইল, বিহু, ডিমাসা, মণিপুরি, খাসি, ওড়িয়া নৃত্য পরিবেশিত হবে এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দায়িত্বে থাকবেন সত্যজিৎ দে। সীতাংশুবাবু জানান, ফাইনাল খেলায় প্রধান অতিথি হিসাবে আসাম সরকারের পরিবহণ, আবগারি ও মীন বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য উপস্থিত থাকবেন।