Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মাঠ ভরল না আদিত্যনাথের শিলচর সভায়!
ওয়েটুবরাক, ২৩ মার্চঃ কাল থেকেই প্রশ্নটা তাড়া করে বেড়াচ্ছিল, ইন্ডিয়া ক্লাবের মাঠে যোগী আদিত্যনাথের সভা হচ্ছে, ভিড় সামাল দিতে পারবেন কি বিজেপি নেতারা? দলের বরাক উপত্যকা সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যভূষণ দে জবাব দিয়েছিলেন, “এই মাঠে পঁচিশ হাজার মানুষ ধরবে। মাঠ ভরে গেলে রাস্তায় দাঁড়াতে পারবেন আরও অনেকে।”
কিন্তু আজ হতাশ করল ওই মাঠ। কয়েক হাজার চেয়ার বসানো হয়েছিল। শেষ পর্যন্তও সব চেয়ার ভরানো যায়নি। এমনকী যোগী আদিত্যনাথ যখন মঞ্চে উঠতে যাচ্ছেন, তখনও মাইকে অনুরোধ করা হচ্ছিল, “ডানদিকের ফাঁকা চেয়ারগুলোতে গিয়ে বসুন।”
শিলচরে আদিত্যনাথের কর্মসূচি প্রথমে স্থির ছিল বেলা সাড়ে বারোটায়। পরে তা এগিয়ে আনা হয় সাড়ে এগারোটায়। ওই সময়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এসে পৌঁছালে খালি মাঠেই বক্তৃতা করে যেতে হতো। সত্তর শতাংশ চেয়ারে তখন কেউ ছিলেন না। কিন্তু আদিত্যনাথ শিলচরে এলেন সাড়ে বারোটার পরে। মাঠের অবস্থা জেনে তাঁর সঙ্গে থাকা স্থানীয় নেতৃবৃন্দ তাঁকে মাঠে আনার সাহস পাননি। তিনি যখন মঞ্চে ওঠেন তখন বেলা দেড়টা। ততক্ষণে বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ এনে কোনওক্রমে সম্মান রক্ষা করা হয়।
বিজয় সঙ্কল্প সমাবেশ মঞ্চে শুরু থেকেই দুই বিক্ষুব্ধ নেতা কণাদ পুরকায়স্থ ও উদয়শঙ্কর গোস্বামীকে বসিয়ে রেখে ঐক্যের বার্তা ছড়ানোর চেষ্টা হয়। পরে আসেন অমরচাঁদ জৈনও। মঞ্চাসীনদের এ বার বাঙালি গামছায় সংবর্ধনা জানানো হয়। যোগীকে অবশ্য ভিন্ন বস্ত্রে স্বাগত জানান প্রার্থী দীপায়ন চক্রবর্তী।
দীপায়নবাবু বলেন, হিন্দুদের সুরক্ষায় সন্ন্যাসী হয়েও যোগী আদিত্যনাথ নিরন্তর কাজ করে চলেছেন। তাঁর কথায়, অন্য প্রার্থীদের মাঠে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। কংগ্রেসের তমালকান্তি বণিক দলের নামটিও বলেন না।
তমাল বণিক ও দিলীপকুমার পাল দুজনের প্রচারেই বিশেষ জায়গা পেয়েছে “খেলা হবে।” দীপায়নবাবুর বক্তব্য, এ বড় লজ্জার কথা! ভোটাররা ফুটবল নন। তাঁদের নিয়ে কীসের খেলা হবে! তিনি বলেন, খেলার জন্য বিজেপি প্রার্থীরা ভোটে দাঁড়াননি। তাঁরা জিতে বিধানসভায় আইন প্রণয়ন করবেন। এলাকার বিকাশে কাজ করবেন।