Barak UpdatesHappeningsBreaking News
মকর সংক্রান্তিতে কীর্তনাশ্রয়ের নগর কীর্তন শিলচরে
সুদর্শন গুপ্তের অকাল প্রয়াণে শোক সংস্থার
ওয়ে টু বরাক, ১৫ জানুয়ারি : পৌষ সংক্রান্তির সকাল নগর কীর্তনে পা মেলালেন শহুরে মানুষ। প্রতি বছরের মত এবারও শিলচর কীর্তন আশ্রয়ের আয়োজনে রবিবার সকাল ৮টায় নরসিংটোলা ময়দান থেকে বের হয় এই নগর সংকীর্তন। গৌরাঙ্গ মহাপ্রভুর শ্রীখোল বাদনের এক অপূর্ব প্রতিকৃতি সহ সংস্থার ব্যানার নিয়ে এই নগর কীর্তন বের করা হয়। এতে সামিল হন বিভিন্ন বয়সের কীর্তন প্রেমীরা।
এ দিনের নগর কীর্তন নরসিংটোলা ময়দান থেকে বের হয়ে ক্রমে গান্ধীবাগ, সেণ্ট্রাল রোড, প্রেমতলা, হাসপাতাল রোড পয়েণ্ট, অম্বিকাপট্টি চৌরঙ্গী হয়ে ফের নরসিংটোলা ময়দানে ফিরে আসে। নগর কীর্তন চলাকালীন বিভিন্ন বাড়ি থেকে ফলমূল, নকুল বাতাসা দিয়ে লুট দেন মানুষ। চিরাচরিত পদ কীর্তন “গৌর চলছে ব্রজ নগরে” গানটি গেয়ে নগর কীর্তনে পা মিলিয়েছেন সবাই। লুটের মাধ্যমে এ দিনের নগর কীর্তন শেষ হয়। কীর্তনের শেষে সদ্য প্রয়াত শিলচরের বিশিষ্ট অধ্যাপক তথা সাংস্কৃতিক মনস্ক ব্যক্তিত্ব সুদর্শন গুপ্তর অকাল প্রয়াণে তাঁর আত্মার সদগতি কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মানুসারে মকর সংক্রান্তির দিনে নগর সংকীর্তনের এক বিশাল রীতি রয়েছে।এ দিন সংবাদ মাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে কীর্তনাশ্রয়ের কর্ণধার তথা সভাপতি সমরবিজয় চক্রবর্তী বলেন, আমাদের পরম্পরা রক্ষা করতে হবে। শহুরে ও প্রান্তিকের সমন্বয় সাধন করা আমাদের লক্ষ্য। কীর্তনের মাধ্যমে গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু কুসংস্কার দূর করে মানুষের মধ্যে সমন্বয় তৈরি করেছেন। এতে শুধু বাংলা নয়, ভারতের নানা অঞ্চলের সংস্কৃতির গতিপথ প্রভাবিত হয়। কীর্তন সামজিক ঐক্যের অন্যতম মাধ্যম।
তিনি আরও বলেন, কীর্তনকে মধ্যবিত্তরা ধর্মীয় গন্ডিতে আটকে রেখেছেন। শহুরে মানুষের গলায় কীর্তনের সুর এনে দিয়ে মধ্যবিত্ত ও প্রান্তীয় মানুষের ব্যবধান ঘোচানোর কাজ করছে কীর্তনাশ্রয়। বক্তব্য রাখেন সংস্থার সম্পাদক ভাষ্কর দাস, সুবীর ধর প্রমুখ। এ দিনের নগরকীর্তনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সঙ্গীত শিল্পী কমলেশ ভট্টাচার্য, মহিতোষ পাল, সন্তোষ চন্দ, পার্থ শীল, কানাইলাল দাস, অজয় চক্রবর্তী, রাহুল ভট্টাচার্য, অরিন্দম ভট্টাচার্য, দেবজ্যোতি রায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, অনিকেত চক্রবর্তী, জয়দীপ ভট্টাচার্য প্রমুখ।